সর্বশেষ:

সহযোগিতার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

সহযোগিতার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
Facebook
Twitter
LinkedIn

ঢাকা ব্যুরো :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ (ইউএইচসি) নিশ্চিত করতে পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।আজ জাতিসংঘ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজিএ উচ্চ-স্তরের বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরকে সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ নিশ্চিত করতে পাঁচটি ক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন করার জন্য অনুরোধ করছি।’ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে: প্রথমত, শিশু, মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য উন্নয়ন সহায়তা বজায় রাখা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্য চক্র মোকাবেলা করা।

প্রযুক্তি স্থানান্তরের ‘ট্রিপ’ (ট্রাফিক রেসপন্স এন্ড ইনফর্মেশন পার্টনারশিপ) বাধ্যবাধকতা মেনে চলা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অথচ অর্জনযোগ্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা। বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি।

আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিয়েছে, কারণ, বাংলাদেশ প্রতি ১ লাখ জন্মে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬৩-এ নামিয়ে এনেছে। এগুলো ছাড়াও প্রতি হাজার জন্মে নবজাতকের মৃত্যুহার ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী মৃত্যু হার ২৮-এ নেমে এসেছে। শিশু টিকাদানের ওপর আমাদের গুরুত্ব সার্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’

তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারী ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি। আমরা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছি।’তিনি আরও বলেন , বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মান প্রতিষ্ঠা করেছে। মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক রোগের বিষয়ে বাংলাদেশের নীতি এবং পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

এছাড়াও আমরা সংস্কৃতিগত ভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করি। আমরা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির জন্য একটি ‘এক স্বাস্থ্য পদ্ধতি’ প্রচার করছি। আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো খরচ মিটনো জন্য একটি কার্যকর অর্থায়ন মডেল তৈরি করা। বাংলাদেশে, আমরা আমাদের ওষুধের চাহিদার ৯৮% দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করি।’এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana