সর্বশেষ:

humkir mukhe paikgcha o satkhira songjog baka bridge

হুমকির মুখে সাতক্ষীরা ও পাইকগাছার সংযোগ বাঁকা ব্রীজ, ঘরবাড়ি ও দোকানঘর

humkir mukhe paikgcha o satkhira songjog baka bridge
Facebook
Twitter
LinkedIn

এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা )

সাতক্ষীরার কুল্যামোড় হয়ে আশাশুনি ইউনিয়নের দরগাহপুর এবং খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম বাঁকা ব্রীজ। কপোতাক্ষ নদের তীব্র স্রোতে ওই ব্রীজের দুই প্রান্তে পিলারের নিচের মাটি ধ্বসে যাওয়ায় ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সাথে আশেপাশে ঘরবাড়ি, দোকানঘর ও ফসলীক্ষেত।

এখনি কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে ব্রীজটি সহ অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে সাতক্ষীরার দরগাহপুর ও পাইকগাছার রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা বাজারের মধ্যে ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে ভারী যানবাহন বাস মিনিবাস, ট্রাক সহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পুঁতে রাখা হয়েছে ব্রীজের দুই প্রান্তে সড়কের মাঝখানে গাছ। ফলে সাতক্ষীরা ও আশাশুনি থেকে দরগাপুর রুটে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ। অনুরূপ পাইকগাছা প্রান্তে।জনদুর্ভোগ এড়াতে ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দু’উপজেলাবাসী। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কেশবপুর – যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় বিচ্ছিন্ন হতে বসেছে এই দুই উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা। কারণ ২০২০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোর ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পে (২য় পর্যায়)’ খননের আওতায় আশাশুনির আমাদী থেকে তালা উপজেলার শালিখা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নতুন করে কপোতাক্ষ নদ খনন করা হয়। গত ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে দরগাহপুর এবং বাঁকা বাজার পয়েন্টে সাতক্ষীরা এবং খুলনার পাইকগাছা সংযোগকারী ব্যস্ততম সড়ক থাকায় এলাকাবাসী নদীতে নতুন ব্রীজ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জায়গাটি খনন করতে বাধা দেয়।

উল্লেখ্য, যে ওই স্থানে কপোতাক্ষ নদের চরভরাটির জন্য ১৯৯২ সালের ছোট্ট ব্রীজ তৈরি করা হয়। গত বর্ষায় অধিক প্লাবনের কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসী বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার জন্য ব্রীজের নিচ দিয়ে ছোট একটি ক্যানেল তৈরি করে উভয় পাশে সংযুক্ত করে দেয়। পরবর্তীতে এই ছোট ক্যানেলটি এখন গলার কাটা হয়ে গিয়েছে। ক্যানেলটি প্রবল স্রোতে পূর্ণাঙ্গ খরস্রোত নদীতে রূপান্তরিত হয়। পার্শ্ববর্তী বহু ঘর, বসতভিটা ও দোকান নদের গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। অবশিষ্ট রয়েছে ব্রীজটি। কিন্তু ব্রীজের অবস্থা এতই ঝুঁকিপূর্ণ, প্রবল স্রোতের কারণে নিচে মাটি ধ্বসে এমন অবস্থা হয়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে এই ব্রীজ। এ বিষয়ে অনেকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোর জেলার অধীন কেশবপুর কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও এখনো ই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর ভিতর চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় শাহিন, মহিবুল্লাহ, রফিকরা জানিয়েছে যে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি। সেই সাথে উনারা দাবি করেন দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণ করে নদী অবমুক্ত করার। ব্যবসায়ী রমেশ, তালহা মাহমুদ বলেন, যদি কোন ভাবে এ ব্রিজটি তলিয়ে যায় তাহলে যে দুর্ভোগে সৃষ্টি হবে তার দায় যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।কারণ আমাদের প্রতিদিন এই ব্রীজ অতিক্রম করে খুলনা ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে হয়।

এ বিষয়ে প্রশ্নাত্তোরে যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, ভাঙন ঠেকাতে আমরা খুব দ্রুত সেখানে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করছি। এবং যাতে কোনভাবেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত না হয়। যেসকল স্থানে ধ্বস নেমেছে সেখানে সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana