কলি আক্তার মোরেলগঞ্জ: প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের এক নারীকে চাকুরির প্রলোভনে কৌসলে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সাংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের পক্ষে মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারীর বোন স্কুল শিক্ষকা মনোয়ারা খানম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্কুল শিক্ষকা মনোয়ারা বলেন, দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যুত জেলা সার্ব রেজিস্ট্রার জনৈক ফজলার রহমান তার আপন ছোট বোনকে সাব-রেজিষ্টার অফিসে চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে কৌসলে তার বাসায় নিয়ে গৃহপরিচারিকার কাজ করাতে থাকে। এভাবে বিপতœীক ফজলার রহমান চাকুরী দেয়ার নামে নানা ছলচাতুরী ও কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে তার বোনকে বিয়ে করার আশ্বাসে বাড়িতে আটকে রেখে দিনের পর দিন জোরপূর্বক ধর্ষণ ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। চাকুরী দেয়ার নামে এভাবে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তার বোন বাধ্য হয়ে ওই বাসা থেকে পালিয়ে নিজের বাড়িতে চলে আসে।
শিক্ষিকা মনোয়ারা খানম আরও জানান, পারিবারিক আত্মসম্মান রক্ষার্থে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে তার বোনকে বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয় প্রতারক ফজলার রহমান। এরপর একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করতে থাকে ওই শিক্ষিকা ও তার পরিবারের লোকজনকে। মিথ্যা মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতায় একটি সিআর মামলায় (নং- ২১০/২২) গ্রেফতার হয়ে ৫দিন হাজত বাস করেন ওই শিক্ষিকা। যার কারনে তিনি চাকুরী থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্থ হন।
এতেও ক্ষান্ত না হয়ে চাকুরীচ্যুত জেলা সার্ব রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান নিজে, তার গাড়ির ড্রাইভার ও বাসার কাজের বুয়ার ভাইকে বাদী বানিয়ে একের পর এক কাল্পনিক মামলা (মিস কেস সিআর ২০২/২০২৩, ২৫৮/২০২৩, ১০১/২০২৩, ৯৩/২০২৩, ননজিয়ার ৯৭/২০২৩, বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা নং- ২৭/২৩) দায়ের করেন। প্রতারক ফজলার রহমান এমনকি তার আপন ফুফাত ভাই নুরুজ্জামান মোল্লাকেও এসব মামলায় আসামি করে হয়রানী করে আসছে।
স্কুল শিক্ষকা মনোয়ারা খানম তার লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যুত জেলা সার্ব রেজিস্ট্রার প্রতারক ফজলার রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভালুকা, ময়মনসিংহে ৬টি ও ফরিদপুর দুদকে ১টি, মোট ৭টি মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে একের পর এক কাল্পনিক মামলা দিয়ে হয়রানির কারণে নাবালক সন্তান ও পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্কুল শিক্ষকা মনোয়ারা খানম। তিনি এ প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ ফজলার রহমানের হয়রানী থেকে রক্ষায় প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা কামনা করেন।
এসব অভিযোগের বিষয় চাকুরীচ্যুত জেলা সার্ব রেজিস্ট্রার ফজলার রহমানের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তিনি কলটি কেটে দেন। পরবর্তীতে আবারও কল দিয়ে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।