খুলনা প্রতিনিধি :
দেড় লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দিয়েছিলাম : পেনশনের কাগজপত্র নিতে হলে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে সুপারকে ! এসব অভিযোগ তুলে ধরেন বটিয়াঘাটা উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরি সরোয়ার হোসেন। চাকরির শেষ প্রান্তে এসেও স্বস্তি নেই আমার। দৈনিক বিডিনিউজ এর মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী সরোয়ার ও তার স্ত্রী।
পেনশনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি। টাকা দিতে না পারায় পেনশনের কাগজপত্র নিয়ে তালবাহানা। অবশেষে ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এসব নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী সরোয়ার হোসেন । ঘটনাটি, বটিয়াঘাটা উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসার। সরোয়ার হোসেন গাইন সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরি পদে চাকরি করতেন। সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরোয়ার হোসেন গত ২ আগস্ট ১৯৯১ ইং তারিখ চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরির মেয়াদ আনতে সে সুনামের সাথে চাকরিতে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে সরোয়ার হোসেন সুন্দরমহল দাখিল মাদ্রাসায় দপ্তরি পদে কর্মরত ছিলেন।
সরোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, চাকরির সময় মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার আমার নিকট থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে দপ্তরী সরোয়ারের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। এবং তিনি পেনশনে যান। কিন্তু দুঃখের বিষয়, চাকরির মেয়াদ শেষ হলে পেনশন এর কাগজপত্র নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার। ভুক্তভোগী সরোয়ারের অভিযোগ, পেনশনের কাগজপত্র ও পেনশন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট সুপার ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সুপার বলেন, টাকা না দিলে পেনশনের কাগজপত্র দেওয়া হবে না। এভাবে একের পর এক সুপার আব্দুস সাত্তার আমাকে আজ না কাল বলে ঘোরাচ্ছে। মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সাত্তার এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো: জিএম এজাজুল ইসলাম বলেন, দপ্তরী সরোয়ারের চাকরি মাদ্রাসা সুপারের নিয়োগের আগে। তাই সুপার তার কাগজপত্র দিতে পারছেন না।