
বিশেষ প্রতিনিধি :
কর্মচারী থেকে ম্যানেজার অতপর দোকানের মালিক সেজে প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কর্মচারী আলামিন শিকদারের এর বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগ আলহাজ্ব পিন্টু শিকদার। ভুক্তভোগী পিন্টু শিকদার বলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলার লবনচরা কৃষ্ণনগর এলাকার মো: সিরাজুল ইসলাম এর পুত্র আলামিন শিকদারের এর সাথে পরিচয় হয়।
দীর্ঘদিন পরিচয়ের সূত্র ধরে আলামিন আমাকে বাবা ও আমার স্ত্রীকে মা বলে ডাকেন। এক পর্যায় আমি তার অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমি তাকে খুলনা জিরো পয়েন্টের মোড়ে অবস্থিত আমার “তালহা ইলেকট্রনিক্স” ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী পদে চাকরি দেয়। কিছুদিন পর তাকে প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দোকানে ইনভেষ্ট করি। কিন্তু কিছু দিন পরে দেখি যে, দোকানে মালামাল তেমন নাই এবং বিভিন্ন ডিলারগণ আমাকে চাপ দিতে থাকিলে আমি আলামিনকে বলি এবং হিসাব করে দেখি যে,সে ৫২ লাখ টাকা আমার দোকানের ক্যাশ থেকে আল আমিন নিয়েছে। যাহা সে ও তার ভাই ইমামুর আমাকে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প এ লিখিত করে দেয় যে,টাকা গুলো তাড়াতাড়ি পরিশোধ করিবে। উক্ত টাকা সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করায় আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ মহানগর হাকিমের ৩নং আদালতে দঃ বিঃ ৪০৬/৪২০ ধারা মতে মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং- সি/আর ১০৮/২৪। উক্ত মামলায় তার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। মামলা করার পর আল-আমিন সহ তার কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বাড়িতে এসে ও মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেয়ার জন্য জীবন নাশের হুমকি দেয়। আমাকে হুমকি দিয়েও সে ক্ষান্ত হয়নি। আমার নামে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে আজেবাজে বিভিন্ন ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করছে। যা আমার মান সম্মানের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলামিন এর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সে বহু বিবাহের হোতা। আমার টাকা আত্মসাৎ করার পর তার নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছে। আমি উক্ত ঘটনাসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমি সঠিক ন্যায়বিচার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরও বলেন,সে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে লেনদেন করে কিন্তু টাকা দেওয়ার সময় তার প্রতিবন্ধি বোনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন।