সর্বশেষ:

nora nodir dokhol niye du pokkho mukhomukhi songdhorsher ashonka

নড়া নদীর ২য় খন্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা

nora nodir dokhol niye du pokkho mukhomukhi songdhorsher ashonka
Facebook
Twitter
LinkedIn

পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার পাইকগাছার আলোচিত নড়া নদী’র দ্বিতীয় খন্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে যে কোন সময় দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। সোনারতরী মৎস্যজীবি সমিতির পক্ষে স্থানীয় একটি পক্ষ দাবি করছে জলমহল ইজারা নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ভোগদখলকার রয়েছে। স্বরজিৎ ঘোষ দেবেন তার লোকজন নিয়ে আংশিক জমির দাবিদার হিসেবে পুরো মৎস্য লীজ ঘের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। স্বরজিৎ ঘোষ দেবেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেল পক্ষ বৈধ কোন মালিক নন বলে জানিয়েছেন।

সরেজমিন ও প্রাপ্ত সূত্র মতে এলাকাবাসীরা জানান লতা ইউনিয়নের আলোচিত নড়া নদী(২)’খন্ডের ভাগ্য এরকম, যখন যে দল ক্ষমতায় আসে বা এমপি হয় সেই দল বা এমপি’র অনুসারীরা কোন না কোন ভাবেই ভোগ দখলে থাকেন।  জানা যায় লতার হানি-মুনকিয়া মৌজার নড়া নদী( ২) খন্ডের ৬,২৫ একরের সরকারি জলমহালে মৎস্য ঘের করতে বাংলা ১৪৩১-১৪৩৩ সন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হন সোনারতরী মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি হানিরাবাদের বাসিন্দা অমিতাভ মন্ডল।  অমিতাভ মন্ডল মৌসুমের শুরুতে মৎস্য চাষের জন্য হানিরাবাদের বাসিন্দা আবু তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেলের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে পার্টনারশিপে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করেন।

মীর রুবেল জানান, চুক্তিবদ্ধ ৬,২৫ সহ স্থানীয় রেকর্ডিয় জমির মালিক বিধান মালীর ৮৬ শতক,সোহরার হোসেনের ৬৬শতক ও তালার এক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের ৬৬ শতক,এফসিডিআইভুক্ত পানিউন্নয়ন বোর্ডের ২৭ বিঘা সব মিলিয়ে ৬৮ বিঘার জলমহলে মজবুত বাঁধ দিয়ে স্থানীয় ৬০/৬৫ জন দরিদ্র মানুষ এক সঙ্গে ঘের করছি। স্থানীয় বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, জলমহালভুক্ত ১২ বিঘা জমি ডিড মূলে স্বরোজিৎ ঘোষ দেবেন পক্ষরা সপ্তাহ খানেক আগে থেকে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছিল। শনিবার রাতে তারা পুরো জলমহালটির নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। তিনি আরোও জানান, বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। জানাগেছে পুর্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত হাওলাদার বিশ্ব মেম্বর গংদের নিকট থেকে ডিড নিয়ে ঘের করতেন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জলমহালটি তার হাতছাড়া হলে তিনি দিপঙ্কর নামে এক ব্যক্তির কাছে ডিড হস্তান্তর করেন।

সর্বশেষ ,দিপঙ্করসহ অন্য জমির মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সরজিৎ ঘোষ দেবেন সহ জাহাঙ্গীর, মিঠু গংরা ডিড নিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন প্রতিপক্ষের অভিযোগ প্রসঙ্গে সরোজিৎ ঘোষ জানান, আমি কোন জলমহাল দখল চেষ্টার ঘটনায় জড়িত নই। তবে তিনি জানান, প্রতিপক্ষ তুহিন হাওলাদার ও মীর রুবেল গংরা জলমহলের বৈধ কোন মালিক নন। এদিকে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে দখল এবং কর্তৃত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যেকোনো সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগেই বিরোধ নিরসনে দু’পক্ষের লোকদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana