পাইকগাছ প্রতিনিধিঃ
খুলনা জেলা জজ ও পাইকগাছা সহকারী আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নালিশী সম্পত্তিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালু রাখার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের মৃত্যু নুর আলী মালীর ছেলে ফোরকান মালী গংরা পাইকগাছা মৌজার সি এস ২৮ খতিয়ানের ৯.৪০ একর জমির মধ্যে ৭২৭ দাগের. ৩১একর জমির মধ্যে. ১০৩৩ একর সম্পত্তির অংশিদার। যাহা গত এস এ জরিপে ৫৯ খতিয়ানে বাদি-বিবাদি গংদের নামে রেকর্ড হয়।চলমান জরিপে ফোরকান মালী গংদের নামে আর এস ২৪৬ নং খতিয়ান হাল ৭২৩ দাগে. ১০ একর জমি রেকর্ড হয়। উক্ত. ৩৩ একর সম্পত্তি ফিরে পেতে মৃত্যু নুর আলী মালীর ছেলে ফোরকান মালী গং প্রতিপক্ষ একই এলাকার আনছার মালী,মোবারক মালী, মোজহার মালী গংদের নামে পাইকগাছা সিনিয়র জজ আদালতে ৯১০/২১ দেওয়ানী বাটোয়ারা মামলা করেন।
আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় মামলার ১ ও ৬ নং বিবাদী নালিশী সম্পত্তিতে জোর পূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মাণ করিতে থাকে। এমতবস্থায় ফোরকান মালী গং আদালতে দেঃ কাঃ বিধি আইনের ৩৯ আদেশের (১)(২) নং বিধি মোতাবেক অস্থায়ী /অন্তবর্তী কালিন নিষেধাজ্ঞার আবেন করেন। আদালত নিষেধাজ্ঞা শুনানির পর গত ০৯/০১/২৩ ইং তারিখে উভয় পক্ষকে ০৫/০৪/২৩ তারিখ পর্যন্ত দখল ভিত্তিতে স্থীতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে গত ২৮ মে ২৩ ইং তারিখে জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক দেওয়ানি -৯১০/২৩ মামলার রিভিশন সংক্রান্ত মামলার দোতরফা সুত্রে অস্থা্য়ী নিষেধাজ্ঞা শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নালিশী সম্পতির বর্তমান দখল ও আকৃতি -প্রকৃতি বিষয়ে উভয় পক্ষকে স্থিতিশীল বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ৪ ও ৬ নং বিবাদী আদালতের নির্দেশনা অমান্য করিয়া জোর পূর্বক পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে বলে জানান ফোরকান আলী গংরা।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে গেলে মোঃ মোবরাক আলী মালী বলেন যে আদালতে দখল ভিত্তি স্থিতিশীল বজায় রাখার আদেশ দিয়েছে। কিন্তু আমার দখল ভিত্তি জায়গায় আমি কাজ করছি।
বাদী পক্ষের মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান আছে। হিস্যা অনুযায়ী আমরা ০.১০৩৩ একর জমি পাবো এবং মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন পাকা স্থাপনা তৈরী করা যাবে না। কিন্তু প্রতি পক্ষরা পাইকগাছা ও খুলনা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থিতিশীল জায়গার উপর পাকা স্থাপনা তৈরির কাজ চলমান রেখেছে।