
বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনা লবনচরা থানা (কেএমপি)র মারামারি মামলায় স্বাধীন দাস (২৮)কে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে বটিয়াঘাটা উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সূত্র প্রকাশ, বটিয়াঘাটা উপজেলার রায়পুর এলাকার সুজন দাসের স্ত্রী জয়ন্তী দাস বাদী হয়ে রবিবার সকালে লবণচরা থানায় স্বাধীন দাস (২৮), পিতা- খোকন দাস, সাং- ছয়ঘরিয়া, থানা- বটিয়াঘাটা ও তাপস দাস (৩১),পিতা- পঞ্চন দাস, সাং ডুমুরিয়া, থানা ডুমুরিয়া, উভয় জেলা খুলনা সহ অজ্ঞাত নামা ৮/৯ জনকে বিবাদী করে একটি মারামারি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরনে জানা যায়,গত ১৮ জুন ২০২৫ তারিখ দিনে দুপুরে স্বাধীন দাস ও তাপস দাস সহ অজ্ঞাত নামা ৮/৯ জনের একদল সন্ত্রাস বাহিনী জয়ন্তী দাসের স্বামী সুজন দাসকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় লবনচরা থানাধীন রুপসী রুপসা হাওলাদার সড়কে। পরে ওয়াটার লাইন কোম্পানীর উত্তর পাশে ফাকা পতিত বিল্ডিং এর মধ্যে নিয়ে সুজন দাসকে দেশীয় রড দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার সারা শরীরে আঘাত করে। অস্ত্রের আঘাতে সুজনের মাথা কেটে ফেটে গিয়ে সে রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুজনের বর্তমান অবস্থা আশঙ্কজনক। তার মাথায় বেশ কিছু সেলাই লেগেছে। হাসপাতাল বেডে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে। অন্যদিকে বিবাদীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জয়ন্তী দাস সহ তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: তৌহিদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েই তদন্তপূর্বক নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এক নং আসামিকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।