সর্বশেষ:

পাইকগাছায় যোগদানের আবেদনেই বরখাস্ত হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ

Facebook
Twitter
LinkedIn

পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি

অসুস্থতার কারন দেখিয়ে টানা তিন মাস ছুটিতে থাকা মাদ্রাসা অধ্যক্ষ কর্মক্ষেত্রে যোগদানের আবেদনেই বরখাস্থ হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সাথে।জানাগেছে, উপজেলার কপিলমুনি জাফর আউলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতি করে প্রতিষ্ঠানে অর্থ আত্মসাৎ করেছন। শিক্ষকদের সাথে অসৎ আচারন, মাদ্রাসার জমি জালিয়াতি করে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস সাত্তার।

ইতিপূর্বে, অধ্যক্ষ অপসারনের দাবীতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অবিভাবক মানববন্ধন করে অধ্যক্ষের রুমে তালা লাগালে অসুস্থতার কারন দেখিয়ে ছুটিতে যান অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান, দূর্ণীতি অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ডিসি, সভাপতি বরাবর অভিযোগ জমা দেন অন্য শিক্ষকরা। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তদন্তে আসেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। সেখানে অনিয়ম, দূর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎয়ের সত্যতা মেলে। তিনি স্বীকার করে নেন।

সোমবার (২৮ জুলাই) মাদ্রাসার সূচতুর অধ্যক্ষ কর্মক্ষেত্রে যোগদানের উদ্দেশ্যে সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করেন। ছুটিতে থাকাকালীন অবস্থায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি অনুভব করছি বিধায় আগামী চার আগস্ট দায়িত্ব পালনে ইচ্ছা পোষণ করছি এমন লিখিত আবেদন নিয়ে সভাপতির দপ্তরে হাজির হন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার।

পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওই আবেদনপত্রেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান থাকায় দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ব্যাপারে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম জামিরুল ইসলাম।এব্যাপারে বক্তব্য জানতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের মুঠো ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana