
এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা)
খুলনা -৬ আসনে ধানের শীষ কে বিজয়ী করতে এমপি প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পীর সাথে ঐক্য হয়েছে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম এনামুল হক ও তার সমর্থকদের মধ্যে।২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে উপজেলা সদরে এমপি প্রার্থী মনিরুল হাসান বাপ্পীর সাথে এনামুল হক সমর্থকদের এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় মনিরুল হাসান বাপ্পী ও এসএম এনামুল হক অতিতের সকল ভুলবোঝাবুঝির অবসান করে এক সাথে কাজ করতে ঐক্যমত পোষণ করেন। এর মাধ্যমে মনিরুল হাসান বাপ্পীর সাথে এনামুল হক সমর্থকদের যে দুরত্ব তার অবসান হয় এবং নির্বাচনের পূর্বে এ ধরনের ঐক্য বা সমঝোতা কে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে মতবিনিময় সভায় মনিরুল হাসান বাপ্পী তার বক্তৃতায় বলেন রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি একটি বড় দল, রাজনীতিতে বড় দল থাকলে অনেক যোগ্য নেতা তৈরী হয়, অনেকেই পদে আসতে পারেন না। তখন গ্রুপ এবং একজনের সমর্থকদের অন্যজনের সমর্থকদের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হয়। তিনি বলেন ধানের শীষের নির্বাচনের জন্য আমরা ১৭ বছর অপেক্ষা করেছি। অনেক নির্যাতন, হামলা মামলার শিকার হয়েছি। অনেক মানুষের অনেক কিছু হারাতে হয়েছে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি নির্বাচন পেয়েছি। নির্বাচনে ধানের শীষ কে বিজয়ী করতে হবে। এজন্য ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। এনামুল প্রসঙ্গে মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন আমরা সবাই জানি এনামুল একজন জনপ্রিয় নেতা। তাকে নেতা বানানোর জন্য আমার অনেক সহযোগিতা রয়েছে। আমি চাই মানুষ যাদের পছন্দ করে, তারা সামনে এসে নেতৃত্ব দিক। কোন উদীয়মান নেতা কে থামিয়ে দেওয়া আমার কাজ নয়। তিনি বলেন আমার ও কিছু ভুল ছিল, এনামুলের ও ভুল ছিল। আজ থেকে সব ভুল বোঝাবুঝির ইতি টানলাম। আজ থেকে আমি এনামুলের পাশে থাকবো, এনামুল আমার পাশে থাকবে।
এখন থেকে এনামুল কে নিয়ে পথ চলবো। আগামীর রাজনীতিতে ছোট ভাই আমার পাশে থাকবে, একসাথে পথ চলবো। নির্বাচন কমিটি প্রসঙ্গে মনিরুল হাসান বলেন উপজেলা কমিটি ছোট করা হয়েছে। প্রয়োজনে বর্ধিত করা হবে। তবে যাদের গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে তাদের কে নিয়ে শক্তিশালী সেন্টার কমিটি করা হবে। সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসএম এনামুল হক বলেন আমি ১৯৯০ সাল থেকে ছাত্রদল হয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। কতিপয় ব্যক্তিরা ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের দুরে সরিয়ে রেখেছিল। এনামুল হক ধানের শীষ কে বিজয়ী করতে বৈষম্যের অবসান, সকল নেতাকর্মীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, সমঝোতা স্থাপন এবং মনোনয়ন বঞ্চিত সকল প্রার্থী কে সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার জন্য মনিরুল হাসান বাপ্পী কে পরামর্শ দেন। সভায় সাবেক জেলা বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম ইমদাদুল হক, পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, উপজেলা বিএনপি নেতা কাজী সাজ্জাদ আহমেদ মানিক, শেখ বেনজির আহমেদ লাল ও সরদার ফারুক আহমেদ, এডভোকেট একরামুল হক বিশ্বাস, ইব্রাহিম গাজী, আবুল বাশার বাচ্চু, আব্দুস সাত্তার মোড়ল, আনোয়ারুল কাদীর, যজ্ঞেশ্বর সানা কার্ত্তিক, মোল্লা ইউনুস আলী, শামীম জোয়ার্দার, রাজীব নেওয়াজ, আনারুল ইসলাম, ফয়সাল রাশেদ সনি, দীপঙ্কর বাবু, সাদ্দাম হোসেন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।দীর্ঘদিনের ভুলবোঝাবুঝির অবসান হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায় এনামুল সমর্থকদের মধ্যে। যদি ও এ প্রসঙ্গে অপর পক্ষের মনোভাব কি বা কেমন হবে সেটা জানা যায়নি। তবে ঐক্যের মাধ্যমে এগিয়ে গেলে মাঠ পর্যায়ে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।















