গত মঙ্গলবার, বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক ইয়ারব হোসেন এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন, যিনি প্রায় এক দশক আগে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই রায় বরিশালের মুলাদী উপজেলার চিলমারী গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল খানের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়।
বিচারক হোসেন তার রায়ে বলেন, প্রমাণের আলোকে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে সাইফুল খান নামের ওই যুবক অপরাধী। মামলার নথি অনুযায়ী, সাইফুল একটি সরল স্বভাবের কিশোরীকে বিপদে ফেলে তার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে। সাক্ষ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকালে কিশোরীটি তার ঘরে গেলে সাইফুল তাকে ধর্ষণ করেন। সে সময় সাইফুলের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় সে সুযোগ নেয়।
আদালতে বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির জানান, ঘটনার তিন মাস পর মেয়েটির অসুস্থতা উদ্ঘাটিত হলে জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা। সাইফুল প্রথমে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে কিছুটা সময় নেন এবং পরবর্তীতে অস্বীকার করেন। ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল মেয়েটির মা সাইফুল ও তার স্ত্রীকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেন।
থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম তদন্ত শেষে সাইফুলকে একমাত্র আসামি হিসেবে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচারের এই প্রক্রিয়া এক দশক স্থায়ী হয়েছিল, এবং শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হল।
রায় ঘোষণার সময় সাইফুল খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে, ন্যায়বিচারের পথ দীর্ঘ হলেও অপরাধী শাস্তি এড়াতে পারে না।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম