সর্বশেষ:

খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক

খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ’র নামে ২ কোটি ৮ লাখ টাকার মামলা

খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক
Facebook
Twitter
LinkedIn

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী ছরোয়ার হোসেন ও সাবেক কোষাদক্ষ মনিরুল আলমের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সময়ে দুর্নিতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সেলিম হোসেন বাদী হয়ে গত ২৭/০৪/২০২৩ তারিখে বিভাগীয় শ্রম আদালত খুলনায় দুই কোটি আট লাখ সাতচল্লিশ হাজার ছয়শত ছিয়াওর টাকা লুটপাটের মামলা হয়েছে। যার নং- ১৮/২৩। উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সাবেক সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ এমন একটা প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সেই টাকার কিছু অংশ জমাও দেন। অন্যদিকে অত্র ইউনিয়নের সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতে গত ১০ ই মার্চ সাধারণ সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র ১৯ নং ধারা অনুযায়ী সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য সাবেক সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকে ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে কারণে সদস্য পদ নবায়ন করা হয়নি। অন্য দিকে ১৪ লাখ টাকার যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা,যেটাকে বাদি নারাজির আবেদন করেন।

গত ২০১৪ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন কাজি সরোয়ার ও মনিরুল ইসলাম। তবে
কাজী ছরোয়ার হোসেন সভাপতি হওয়ার আগেও ছিলেন একজন ট্রাক ড্রাইভার। তবে ইউনিয়নের সভাপতি হয়ে কোষাদক্ষকে সাথে নিয়ে সু কৌশলে অসহায় দিনমজুর ও ঘামঝরা শ্রমিকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে হয়েছেন কোটিপতি। রাতারাতি কোটিপতি হওয়া এই ছরোয়ার অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনার মালিক হয়েছে, অনুসন্ধান সুত্রে জানা যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আলীসান পাঁচতলা ভবন, হরিনটানা থানার সস্নিকটে বারো কাঠা জমি, খুলনা জিরোপয়েন্ট ও কৈয়াবাজার এলাকায় রয়েছে একটা প্লট, রুপসী রুপসা এলাকায় রোয়েছে তার বাড়ি।

খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক

এতো অল্প সময়ের মধ্য আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার এই গল্প শুনতে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্যেশ্যে মিলিত হয়েছিলাম শ্রম অধিদপ্তর খুলনার স্থায়ী কার্যালয়ের সভাকক্ষে। এসময়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন দেখে গা ঢাকা দিয়ে দ্রুত স্হান ত্যাগ করেন। একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। শ্রম অধিদপ্তরের নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব এম ডিএ বাবুল রানা বলেন,তারা তো দুর্নিতিবাজ,তাদের সদস্য পদ বাতিল হয়েছে সুতরাং নির্বাচনে অংশগ্রহনের প্রশ্নই ওঠেনা। বর্তমান সভাপতি মোঃ সেলিমের সাথে কথা বলে জানা যায়,সাবেক এই সভাপতি দাইত্বে থাকা কালে প্রচুর অনিয়ম করেছে যার হিসাব আমি আদৌ পাইনি, তিনি আরো বলেন-শ্রমিকের শ্রমের টাকার হিসাব মেলাতে না পারায় মামলা দিয়েছি।

বিভিগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের কছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-সাবেক এই সভাপতি ও সাবেক কোষাদক্ষের বিরুদ্ধে মামলা চলমান,আইন অনুযয়ী তাদের বিচার হবে। সার্বিক বিষয় সাবেক সভাপতি কাজি সরোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন সময় নেই,পরে কথা বলবো, এই বলে ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত হেটে চলে যান। উল্লেখ্য আগামী ১ লা জুন শনিবার বিভাগীয় ট্রাক টর্মিনালে ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana