সর্বশেষ:

বাগেরহাট আদালতে বিচারক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে বিচার কার্যক্রম,ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঁচ তলা ভবনের যায়গা নির্ধান, নেই কেনো কার্যক্রম

Facebook
Twitter
LinkedIn

আবু-হানিফ,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাট জেলায় দীর্ঘদিন ধরে বিচারক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনুমোদিত পদ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় জেলা ও অধিনস্ত বিভিন্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়লেও বিচারক নিয়োগ না থাকায় মামলা নিষ্পত্তির গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এতে ন্যায়বিচারের আশায় থাকা সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

অন্যদিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঁচতলা ভবনের প্রস্তাব অনুমোদিত ও জায়গা বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের ভবনের পুরনো চারটি এজলাস ভেঙে ফেলার পর থেকে এজলাস সংকট আরও প্রকট হয়েছে।

জানা গেছে, বাগেরহাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন ৯ উপজেলায় ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট সব উপজেলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। একইভাবে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী জজের অনুমোদিত ৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৩ জন বিচারক। ফলে একজন বিচারককে স্বাভাবিক দায়িত্বের দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ মামলার চাপ সামলাতে হচ্ছে।
বিচারক সংকটের কারণে দেওয়ানি আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পরিবার আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলাগুলোতে তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে বারবার। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিচারপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগকে চরমে পৌঁছে দিয়েছে।

দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে নিঃস্বপ্রায় হয়ে পড়া তহুরা বেগম তার কষ্টের অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে জানান, “বিচারের আশায় বছরের পর বছর ঘুরছি, কিন্তু শেষ কোথায় জানি না।” শুধু তিনি নন—এভাবে কয়েক হাজার মামলার পক্ষভুক্ত মানুষ বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করছেন রায় পাওয়ার আশায়।

বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী (এপিপি) শিকদার ইমরান বলেন, “মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, কিন্তু বিচারকের সংখ্যা বাড়ছে না। বিচারক সংকটের কারণে মামলা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেক মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় অপরাধ প্রবণতাও বেড়ে যাচ্ছে।”

একই অভিমত ব্যক্ত করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ লালন। তিনি বলেন,“বাগেরহাটে ম্যাজিস্ট্রেসিতে বিচারক সংকট তীব্র। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বাড়ছে এবং জনগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি আদালত ভবন সংকটও বিচার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।”জেলার সচেতন মহল মনে করছেন, বাগেরহাট জেলায় জরুরি ভিত্তিতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের কাজ দ্রুত শুরু করা হলে বিচারপ্রার্থী মানুষের ভোগান্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

সুন্দরবনে ২০ বনদস্যু বাহিনীর দাপট, বনদস্যুদের তৎপরতায় আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন,জেলে, বনজীবীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে

turan hossain rana