বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি :
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের রায়পুর এলাকায় ঘটে যাওয়া এক নারকীয় গণধর্ষণের ঘটনায় সমাজের বুকে ফের একবার কলঙ্কের দাগ লেগেছে। এক সুন্দরী কিশোরীকে নিষ্ঠুরভাবে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত ৬/১১-২০২৩ তারিখে রহিমা খাতুন পিতা মোঃ আতিয়ার রহমান সাং কল্যাণশ্রী বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩। উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সঞ্জয় কুমারের সহযোগিতায় ঐদিন ৩ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন ও গত কাল রবিবার বাকি ৩ আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আসামিরা হলেন ১।
রুবেল শেখ ৩০ পিতা খোকন শেখ গ্রাম টাকিমারী ২। নাজমুল গোলদার ৩০ পিতা আমির আলী গোলদার গ্রাম কল্যাণশ্রী ৩। জুয়েল সরদার ২৭ পিতা হালিম সরদার গ্রাম রায়পুর ৪ রাসেল শেখ ২৮ পিতা গোফুর শেখ গ্রাম রায়পুর। ৫। মৃত্যুঞ্জয় সরকার ২৬ পিতা হরিদাস সরকার গ্রাম ভগবতীপুর ৬। আশিক ইকবাল পুলিশ ২৬পিতা অজ্ঞাত গ্রাম বারআড়িয়া উভয় থানা বটিয়াঘাটা খুলনা।পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,শারদীয়া দূর্গাপুজায় ঘুরতে আসা ওই কিশোরী রায়পুর ভগোবতিপুর এলাকায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিল।
হঠাৎ তাকে একা পেয়ে উক্ত ৬ আসামি একটি লীজঘেরের বাসায় নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। জনৈক কিশোরী তার বয়ানে বলেন, “আমি আশিককে হাত—পা জড়িয়ে ধরে অনুনয় করেছিলাম, ভাই আমাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু তারা কেউ আমার কথা শোনেনি, আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। এই ঘটনায় সমাজের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শওকাত কবির জানান, “আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় আসামিকেই আটক আটক করতে সক্ষম হয়েছি ও তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।