বিশেষ প্রতিনিধি: রাজধানীতে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে। সহিংসতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এজন্য ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুলিশের অনুমতিসাপেক্ষে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দুই দলেরই টার্গেট ঢাকায় কয়েক লাখ নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটানো। এর বাইরে তাদের সমমনা ছোট ছোট দলের কর্মসূচিও রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। যদিও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করবো। তারা আক্রমণ করতে এলে চুপচাপ বসে থাকবো না। শান্তির সমাবেশে হামলা হলে আমাদের কর্মীরাও পাল্টা হামলা করবে।
ঢাকা, 28 অক্টোবর, 2023 – সদ্য যেসময় ঢাকা শহরে দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) দুটি পাল্টাপাল্টি সমাবেশে যোগ দিচ্ছে, সেই সময়ে নাগরিকেরা কয়েকটি জনপ্রিয় চিন্তা উপস্থাপন করছেন। এই বিষয়ে উল্লিখিত দুটি দলের উপায়ে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য একে অপরের বিরুদ্ধে মনোনিবেশ তৈরি করা, যাতে বর্তমান সরকারের সাথে মুখোমুখি হতে পারে।
এই সমাবেশে অনেকে মূল প্রশ্ন তৈরি করছেন, যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আমরা কেন এই ধরনের রাজনৈতিক দলের সমাবেশ দেখছি এবং এটি কোন পরিণাম আনতে পারে?
প্রথমত, এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের সমর্থন প্রাপ্ত করা। দুই দলের নেতারা এই সমাবেশে সাধারণ জনগণের সমর্থন প্রাপ্ত করতে চান এবং এটির মাধ্যমে তাদের সমাজে প্রতি সম্পাদক হতে চান। এছাড়াও, এই ধরনের সমাবেশে দুই দলের নেতারা অপরের সাথে মোকাবিলা করতে পারে, যার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক অসীম বিতর্কের সমাধান সম্ভব হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, রাজধানীতে এই ধরনের সমাবেশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে দুটি দলের সমর্থকের আত্মসমর্থনের একটি চেষ্টা। এই সমাবেশে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এছাড়াও, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) তাদের সমর্থন প্রাপ্ত নেতার সমাগমে প্রায় দুই মাইল দূরত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ করবে। এই সমাবেশে প্রায় লাখ নেতা-কর্মী সমাগম ঘটানো হবে।
এই সমাবেশে বুদ্ধিজীবী নেতাদের মধ্যে অদ্ভুত উদ্দেশ্যের অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি স্বত্বযজ্ঞ বলে ব্যক্ত করেছেন, “আমরা দেশের বাজেটে বেশি হারে করবো না, বরং নির্বাচনে হারবো।” এই বক্তব্যটি সমাবেশের মূল মন্তব্য হতে পারে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে একটি সমস্যার উপস্থাপন করে।