
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের মধ্য দিয়ে। গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতি প্রকাশ করে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন।
এই হরতালের পেছনের কারণ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী তাদের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং রাজধানীর শাপলা চত্বরে তাদের মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। তারা দাবি করে যে, মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী আরও দাবি করে যে, তারা চায় সরকার অবিলম্বে পদত্যাগ করুক এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তারা আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদানের প্রতিবাদে এই হরতালের ডাক দিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামী তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
এই হরতালের প্রভাবে জনজীবনে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে হরতাল সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এবং রাস্তায় যানবাহনের চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, সরকার এই হরতালকে অগ্রাহ্য করে জনগণকে তাদের নিত্যদিনের কাজে বের হতে উৎসাহিত করেছে। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ এবং সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা অধিকতর প্রকট হয়ে উঠেছে। জনগণ চায় তাদের নেতারা মতবিরোধ ভুলে দেশের স্বার্থে একসাথে কাজ করুক। এই সংকটের সমাধানের জন্য সবার প্রতি সদিচ্ছা, সহনশীলতা এবং দায়িত্ববোধের প্রয়োজন।















