
পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় লিখিত স্ট্যাম্প ছিনিয়ে নিয়ে মারপিট করা শ্লীলতাহানি ঘটানো ও ভয়ভীতির অভিযোগে আদালতে মামলা। থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
মামলার অভিযোগে জানাযায়, পাইকগাছা পৌরসভার সরল গ্রামের শেখ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন বেগম বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত বিষয় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামি বাতিখালী গ্রামের প্রেমচাঁদ সানার তিন পুত্র পার্থ সানা, প্রশান্ত সানা ও প্রসেনজিৎ সানা এবং মৃত্যু সুধাংশু সানার পুত্র সুশীল কুমার সানা। সরল গ্রামের নিরাপদ মন্ডলের পুত্র তন্ময় মন্ডল এবং খড়িয়া ঢেমশাখালী গ্রামের নরেন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র হিমাংশু মন্ডল সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন।মামলায় বাদী অভিযোগ করেন যে,আসামিরা বাদীর সাথে জমাজমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে। অত:পর পাইকগাছা সাবেক পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, কাউন্সিলর তৈয়েবুর রহমান ও কবিতা দাস এর মাধ্যমে বাদী আসামিদের নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়।পরবর্তীতে আপোষ নামার মধ্যে বিকাশ সানা অসুস্থ হয়ে বাদীর কাছ থেকে আরো ৮০ হাজার টাকা নেয়। এরপর বিকাশ সানা মারা যায়। পরবর্তীতে বিকাশ সানার ভাই ও আত্নীয়রা লিখিত অঙ্গীকার নামা ভঙ্গ করলে দু’পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আদালত বাদীর স্বামীর মামলাটি পৌর মেয়র এর কাছে বিচারের জন্য প্রেরণ করেন। ঐদিন আসামীরা বাদীর সাথে আপোষ মিমাংশা করে বাদীকে তার টাকা দিয়ে আসামিদের দেয়া স্ট্যাম্প ফেরত নিতে চায়।সেমতে মামলার বাদী নাছরিন ও তার স্বামী শহিদকে আসামীরা মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর এর বাড়ী ডাকে। বাদী ও তার স্বামী মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর এর বাড়ী যাওয়ার পথে ফাঁকা রাস্তায় তাদের গতিরোধ করে গালিগালাজ ও মারপিট করে। ঐসময় আসামীরা বাদীকে টানা হেচড়া করে বিবস্ত্র করত: শ্লীলতাহানি ঘটায় ও বাদীর কাছ থেকে স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকার নামা কেড়ে নেয়।আর বাদীর স্বামীর কাছ থেকে নগদ টাকাও মোবাইল কেড়ে নেয়।এবিষয়ে বাদী স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি পাইকগাছা থানাকে তদন্ত দেন। মামলার বাদী আসামিদের শাস্তির দাবী জানান।মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এফএমএ রাজ্জাক।