বিশেষ প্রতিনিধি
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ টেলিভিশন ও দেশটিভি নিউজ, খুলনা নামে একটা ইউটিউভ চ্যানেল এবং ফেইসবুক পেজ-এ শেখ পরিবারের দাপটে সম্পদের পাহাড় সওজ প্রকৗশলী মাসুদের শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। যা একজন সুস্থ সাংবাদিকের পক্ষে নীতি ও আদর্শ ভ্রষ্ট বলে আমি মনে করি।
সংবাদে বলা হয়েছে আমি শেখ পরিবারের সহায়তা নিয়ে মাগুরা, ঢাকা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় বিপুল সম্পদের পাহাড়ের কথা বলা হলেও সেগুলো ঐইসব স্থানের কোথায়? কত টাকা দিয়ে কিনেছি? জমির পরিমাণই বা কতটুকু? কোন সালে, কোন তারিখে কেনা হয়েছে? এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রতিবেদনে উলেখ নেই। এ থেকে বোঝা যায় স্বার্থন্বেষী মহলের সহায়তায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুধু একটি প্রতিবেদন করতে হবে, তাই করা হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি ও শারীরিক লাঞ্ছনার যে কথা বলা হয়েছে বা যাদের দিয়ে বলানো হয়েছে, তারা কেউ-ই সওজ বিভাগের নিয়মিত কর্মচারী নয়। বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে স্বার্থন্বেষী মহলের শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করে প্রচার করা হয়েছে। যাদের সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছে, এরা কার লোক? কাদের সাথে চলাফেরা করে তা তদন্ত করলে সত্য বের হয়ে আসবে।
আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সময় দুদক কর্মকর্তাদের সওজের বাংলোতে রাখার কথা প্রতিবেদনে যেটা উলেখ করা হয়েছে সেটা অনেকটাই হাস্যকর! এটা বোধগম্য নয় যে, দুদক কর্মকর্তারা কোথায় থাকবেন এটা নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে দুদক কর্মকর্তার কোন বক্তব্য নেয়া হয়নি। এমন সংবাদ দুই সরকারি সংস্থার জন্য নিঃসন্দেহে মানহানিকর। প্রসঙ্গত, দুদক আমার বিরুদ্ধে তাদের তদন্তে কোন অনিয়ম, দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি।
খুলনায় আমার বর্তমান নির্ধারিত আসনে এর আগে দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী জনাব তাপসী দাস আমাকে জড়িয়ে যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে একজন সহকর্মীর বিরুদ্ধে এরকম মনগড়া প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য দেওয়া আদৌ সমীচীন কিনা?
সরকারী চাকুরী করার সুবাদে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ, বিভিন্ন কর্মপন্থা নির্ধারনের জন্য অন্যান্য সকলের মত একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সরকারী আইন-কানুন মেনে প্রফেশনালী যতটুকু কাজ করা প্রয়োজন তাই করেছি।
আমি পুরো সংবাদের প্রতিবাদ করছি। পরবর্তীতে এ ধরনের গতানুগতিক ও সাংবাদিকতার মূলস্রোতধারার বাইরে গিয়ে সাংবাদিকতা না করার জন্য অনুরোধ করছি। একজন ব্যক্তির স্বার্থহাসিল কোন সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা হতে পারে না। আইন সবার জন্য সমান।