বিশেষ প্রতিনিধি :
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাতক্ষীরায় সদর উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী জেলা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সংকট চলছে। এই সংকট নিরসনে এবং জেলা আওয়ামী লীগকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সততার আলোয় আলোকিত স্মার্ট বাংলাদেশ ও উন্নত সাতক্ষীরা গড়তে সাতক্ষীরা-২ আসনের বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় দলের তৃণমূল নেতৃবৃন্দসহ সাতক্ষীরাবাসী। বর্তমান সময়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সংকট নিরসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নেতৃত্বের বিকল্প নেই। জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা একে ফজলুল হক খুবই অসুস্থ ও বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেন না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরায় গুটি কয়েক স্বার্থবাদী ও মুখোশধারী নেতা যারা দলের ভালো চায়না তারা দলটাকে টাকার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
সাতক্ষীরায় গুটি কয়েক স্বার্থবাদী নেতা যাদের বাপ দাদারা কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করিনি, বারবার দলীয় নৌকার বিরোধীতা করেছে তাদের গভীর ষড়যন্ত্রে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। দলকে ধ্বংশকারী ঐসব নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ও দল থেকে বহিস্কার করার দাবী উঠেছে। সেই সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঐসব মুখোশধারী নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ভাবে তদন্তের দাবী এবং কঠিন শাস্তির দাবী জানিয়েছে। ঐসব মুখোশধারী নেতারা ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৬ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকার বিরোধীতা করেছিল। এক জন শীর্ষ নেতার আপন ছোট ভাই হত্যা ও নাশকতাসহ ৩২ মামলার আসামী।
সে পলাতক রয়েছে। তিনি চিকিৎসার নাম করে প্রায় ভারতে যান তার ভাইকে আর্থিক সহযোগিতা করতে। তাদের পুরা পরিবার জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী। তিনি জামাতকে সংগঠিত করতে অনেক জামাত শিবির নেতাকে আওয়ামী লীগের পদে স্থান দিয়েছেন এবং আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন। নামে বেনামে বিশাল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন। সঠিক তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে কিভাবে তার উত্থান হয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দলের প্রতি আস্থা থাকলেও দলীয় ঐসব নেতাদের প্রতি আস্থা নেই। কারণ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট চার জন প্রার্থী ছিল।
সুলতানপুরে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার বাড়িতে বসে টাকার লোভে বিএনপির এক বড় নেতার ছেলের নিকট ঐ ভাইস চেয়ারম্যান পদ বিক্রি করে দিয়েছেন। সদর উপজেলা নির্বাচনে ঐ শীর্ষ নেতার মতামতের ভিত্তিতে। চেয়ারম্যান পদে এস.এম শওকত হোসেনকে সমর্থন দিয়েছিল। যেটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। আরো তিন জন চেয়ারম্যান পদে ছিল তারাও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছে। তাদের কাছ থেকে টাকা ও সুবিধা নিয়ে দিনে দলের লোকদের পক্ষে আর রাতে জাতীয় পার্টির লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার সিগনাল দিয়েছেন। সদর উপজেলা নির্বাচনের আগে ২৬ তারিখ জাতীয় পার্টির নেতাদের নিয়ে ঐ অর্থলোভী মুখোশধারী কয়েকজন নেতা ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজে গোপন মিটিং করে আওয়ামী লীগের যারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভোটে দাঁড়িয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে জাতীয় পার্টির উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার নীল নকশা তৈরী করে। তাদের কাছে দল বড় নয়, তাদের কাছে স্বার্থ এবং টাকা বড়। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদরে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ছিলনা। ভোটের কৌশলগত ভাবে কারণে এখানে জাতীয় পার্টিতে দয়া করে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
সে সময় সদরে ভোটের মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন দুইবারের এমপি। যিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সেসময়ও ঐ গুটি কয়েক স্বার্থবাদী নেতা জাতীয় পার্টিকে মিথ্যা মহাজোট বানিয়ে লাঙ্গলের নির্বাচনী জনসভায় তারা সাতক্ষীরার মাটি জাতীয় পার্টির ঘাঁটি, লাঙ্গলের ঘাঁটি বলেছিল। দলের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি বক্তব্য দিলেও তারা কর্ণপাত করেননি। তারা লাঙ্গলের বিজয়ে জনগণকে বুঝিয়েছিল নৌকা মানে লাঙ্গল এবং লাঙ্গল মানে নৌকা।
সারা বাংলাদেশে এমনটি হয়নি, যেটা সাতক্ষীরা সদরে হয়েছিল। দেশের কোথাও আওয়ামীলীগের কোন নেতা জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের জন্য ভোট চেয়েছে এমন নজির নেই। যেটা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে হয়েছিল। ঐসময় জনগণ যা বুঝেছিল তার প্রতিফলন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ লাঙ্গলে ভোট দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগের দলের প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনের ভোটে ফেল করেছে। সাতক্ষীরার সাধারণ ভোটাররা ঐসব বেইমান নেতাদের কথা শোনেনি। তাদেরকে প্রত্যাখান করেছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং অস্বিত্ব সংকটে পড়েছে সাতক্ষীরায় জেলা আওয়ামী লীগ। দলের জন্য ক্ষতিকারক বিষবৃক্ষ উৎখাত না করলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা দলের প্রতি আস্থা হারাবে আর তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে সাতক্ষীরা থেকে আওয়ামী লীগ নিশ্চির্ন্ন হয়ে যাবে।
সাতক্ষীরায় জেলা আওয়ামী লীগকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দলের জন্য নিবেদীত প্রাণ বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ্যের সৈনিক সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে তৃণমূল থেকে আবার নতুন করে সংগঠন তৈরী করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। সততা ও যোগ্যতা দিয়ে সাধারণ মানুষের দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে যিনি জামাত-বিএনপির ঘাঁটি ভেঙ্গে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি তৈরী করেছেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা রবি। সাবেক এই তুখোড় সাহসী ছাত্রলীগ নেতা, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী মুজিব সৈনিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিব কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শ্যের আদর্শিত ব্যক্তিত্ব, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডো এসোসিয়েশনের প্রথম সভাপতি, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভিপি, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
তিনি সাতক্ষীরার গরীব দুঃখী গণমানুষের নেতা রাজনীতিবিদ সাতক্ষীরা বাসীর প্রিয় মুখ। যিনি একজন সাদা মনের মানুষ, পরোপকারী, সাতক্ষীরা বাসীসহ সর্বস্তরের জনতার গর্ব ও অহংকার আশার-আকাঙ্খার প্রদীপ। তিনি সাতক্ষীরাকে জামাত মুক্ত ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরী এবং সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নেতৃত্বের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। তৃণমূল নেতাকর্মীদের জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি সাতক্ষীরায় জেলা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সংকট নিরসন এবং জেলা আওয়ামী লীগকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে সভাপতি হিসাবে দেখতে চায়।