নারায়ণগঞ্জে আজ সকালে এক ভয়াবহ সংঘর্ষের সাক্ষী হয়েছে সারা দেশ। বিএনপির সমর্থনে বের করা এক মিছিলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে তিন জন যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ শহর এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছে।
সংঘর্ষের ঘটনা:
বিএনপির সমর্থনে বের করা মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে, পুলিশের সাথে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে যুবদলের তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধরা হলেন- মহানগর যুবদলের ওয়াদুদ সাগর, সুজন ও সোহেল।
বিএনপির অভিযোগ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু অভিযোগ করেন যে, পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালের কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি করেছে। এসময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।”
পুলিশের বক্তব্য:
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা এসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে তাদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতির প্রভাব:
এই ঘটনার প্রভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের জনজীবন ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সাধারণ মানুষ এই অস্থিরতার মধ্যে পড়ে গেছেন এবং তারা শান্তির প্রত্যাশায় আছেন।
সমাপ্তি:
নারায়ণগঞ্জের এই ঘটনা আমাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে: কিভাবে আমরা আমাদের রাজনৈতিক মতবিরোধগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে নিতে পারি? এটি এখন সময়ের দাবি যে, সকল পক্ষগুলো এগিয়ে আসবে এবং সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজবে।