ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি->>
খুলনার ডুমুরিয়ায় সরকারি জমি ও খাল অবৈধ ভাবে দখলে নিয়ে বালু ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ফসল ও বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের আটলিয়ার বরাতিয়া গ্রাম বাসির উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানব বন্ধন কর্মসূচীতে দাড়িয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে ভূক্তভোগি গোবিন্দ মল্লিক,আনন্দ মল্লিক,আব্দুল গফফার,বিষ্ণু পদ সরকার ও মিঠুন সরকার অভিযোগ করে বলেন, বরাতিয়া গ্রামের পূর্বাংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বাঁধের ভিতর আমাদের অনেক কৃষি জমি ও বসত বাড়ি রয়েছে। ওয়াপদার বাঁধ তৈরি কালে বাঁধের ভিতরের পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না রাখায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সড়ক ও জনপথ দপ্তরের জমিতে খাল-নালা সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়ে আসছি।
কিন্ত বর্তমানে বাঁধের ভেতর বৃহত্তর এলাকা জুড়ে সরকারি ওই খালের জমি ভরাট করে খুলনা নগরীর জনৈক জাহিদুল ইসলাম এবং মাগুরাঘোনা এলাকার রিয়াজুল ইসলাম স্হানীয় খর্ণিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী নেতা এবং দু’জন শ্রমিক লীগ নেতাসহ এলাকার স্বার্থান্নেষি একটি মহলকে ম্যানেজ করে দু’টি অবৈধ বালুর বেড তৈরী করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ খুলনা-সাতক্ষীারা মহাসড়ক দখল করে সার্বক্ষনিক ১০/১২ ডাম্পিং ট্রাক বালু বহনের কাজে নিয়োজিত থাকায় যানজটের সৃষ্টি এবং রাস্তা দিয়ে চলাচলকারি পথচারীদের দূর্ঘটনার ঝুঁকিসহ বালু বেডের পাশে বসবাসকারি সাধারণ মানুষ পরিবেশ দূষনের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে গত মে মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও অধ্যাবদি কোন সুরাহা না হওয়ায় কর্মসূচিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা দ্রুত বালুর বেড বন্ধসহ পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। মানব বন্ধন কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে স্হানীয় আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দীন বলেন,বালু বেড পরিচালনার মাধ্যমে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ফসল এবং বাড়ি ঘরের ক্ষতির অভিযোগের কারনে আমি বালু ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করিনি। এছাড়া আমি মালিক পক্ষকে নোটিশ করে পরিষদে হাজির হতে বললেও তারা হাজির হয়নি। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে দ্রুত ব্যবস্হা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছি।