কুয়ালালামপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ : মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফান সাদিকের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইরফান গত ২৫ সেপ্টেম্বর সারাওয়াক রাজ্যের সারাওয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মসজিদের বেলকনি থেকে নদীতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইরফানের পরিবার ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ইরফান মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার এ অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত ছিলেন। কিন্তু তারা তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ইরফানের বাবা মারজুক সাদিক বলেন, তার ছেলের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে তার ছেলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
ইরফানের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. রহিম নোরাশিদ। কমিটির প্রতিবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইরফানের মৃত্যুতে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গভীর শোক প্রকাশ করেছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, ইরফানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ীত্ব
ইরফানের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। ইরফানের মতো শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে ভোগেন। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তদন্তের দাবি
ইরফানের পরিবার ও শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, তদন্তের মাধ্যমে ইরফানের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে হবে।
ইরফানের মৃত্যুর ঘটনায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা দাবি করছেন, তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।