বিশেষ প্রতিনিধি :
গত মঙ্গলবার ওপার বাংলার শহর কলকাতায় আয়োজন করা হয় দুর্গোৎসবের কার্নিভ্যাল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টালিউড নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেখানে নাচলেন, এরপরই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়লেন নায়িকা।
এর আগে আসানসোলের একটি দুর্গোৎসবের কার্নিভালে নৃত্য প্রদর্শন করেন ঋতুপর্ণা। আর সেই নাচের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই চূড়ান্ত ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হলেন অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণার নাচের ভিডিওতে অনেকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘নাচ করতে পারেন না কেন চেষ্টা করেন?’ অনেকে আবার লেখেন, ‘এর থেকে তো একজন বাচ্চাও ভালো নাচ করে।’ যদিও সেসময় এসব মন্তব্যের কোনো উত্তর দেননি ঋতুপর্ণা।
এক সাক্ষাৎকারে দুর্গাপূজার কার্নিভ্যালে নৃত্য পরিবেশন করে কটাক্ষের মুখে পড়া অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা ট্রোলাদের কড়া ভাষায় জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী। শিল্পসত্তা নিয়েই আমার জীবন। আমার বিবেক, আমার বোধ কারও কাছে জমা রাখিনি। অনেক বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে আমার আজকে এই অবস্থান। আজও একইভাবে পরিশ্রম করি। আমার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি। আমি অত্যন্ত পীড়িত এবং বিধ্বস্ত তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে। যেসব ডাক্তাররা অনশন করছেন তাদের নিয়েও চিন্তিত। আমার ভেতরের কষ্ট বা প্রতিবাদ আমার কাছেই রাখতে চাই। আর কারও সঙ্গে ভাগ করতে চাই না। কারণ যারা সব কিছু এত খারাপ চোখে দেখেন আর এত বিরূপ মন্তব্য করেন, তাদের কোনও সুযোগ দিতে চাই না।’
এই প্রথম নয়, আরজি কর আবহে একাধিকবার ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হয়েছেন ঋতুপর্ণা। তিনি তিলোত্তমার বিচার চেয়ে শঙ্খধ্বনি করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। রাত দখলের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে মুখর হয়ে শঙ্খধ্বনি করারও ডাক ছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ঋতুপর্ণাও একটি শঙ্খ বাজানোর ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় ট্রোলিং। নেতিবাচক পরিস্থিতি দেখে ভিডিওটি মুছে ফেলেন ঋতুপর্ণা।
এরপর সশরীরে যোগ দিতে রাতদখলে যান ঋতুপর্ণা। সেখানে গো-ব্যাক স্লোগান ওঠে ঋতুপর্ণাকে ঘিরে। গাড়ি থেকে নামতেই অভিনেত্রীর দিকে ছোঁড়া হয় জুতা। চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান অভিনেত্রী।