পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি
রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার ও ৩ বারের নির্বাচিত মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানাকে জড়িয়ে নানা চক্রান্ত সহ বিভিন্ন অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে একটি মহল ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানা দু’জায়গা থেকে ভাতা উত্তোলন করছেন এমন অপপ্রচার করছে।
উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তার দপ্তরের সুত্র অনুযায়ী কপিলমুনি ইউপি’র ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানা ৯০ দশক থেকে অদ্যাবধি কপিলমুনি ইউনিয়ন আনসার ভিডিপি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সে প্রতিমাসে ৩ হাজার করে ভাতার টাকা উত্তোলন করেন। অন্যদিকে সে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সম্মানী ভাতা ভোগ করে থাকেন। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এতে আইনগত ভাবে কোন বাঁধা নেই। বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় রাজিয়া সুলতানার দু’জায়গা থেকে ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি প্রকাশিত হলে বিষয়টি অনেকের নজরে আসে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য রাজিয়া সুলতানা জানান,আমি আনছার ভিডিপির ইউনিয়ন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি পদক লাভ করি। এটা খুলনা জেলাসহ পাইকগাছার জন্য অনেক গর্বের একটি বিষয়।
এছাড়া কপিলমুনি ইউনিয়নে ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে ৩ বার মহিলা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করে আসছি। তিনি অভিযোগ করেন ইতোপূর্বে একটি চক্রের বিরুদ্ধে আমি থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেছিলাম। এ মামলাটি এখন আদালতে বিচারের অপেক্ষায়। এখন তারা ভিন্ন কায়দায় আমার নামে বদনাম ছড়িয়ে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও চক্রান্ত করছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা আনছার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন ইউপি সদস্য ও আনছার ভিডিপি’র ইউনিয়ন কমান্ডার রাজিয়া সুলতানার দু’জায়গা থেকে ভাতা উত্তোলন আইনগত ভাবে কোন বাঁধা নেই। কিন্তু তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, আমার কোন রকম মতামত না নিয়ে রাজিয়া সুলতানার ভাতা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এটা খুবই দুঃখ জনক। এ ধরনের অপপ্রচার পরিহার করা সহ এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য