সর্বশেষ:

up-mohila-sodosso-rotna-odhikari

বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউপি সদস্যা রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে আবারো দুর্নীতির অভিযোগ

up-mohila-sodosso-rotna-odhikari
Facebook
Twitter
LinkedIn

বিশেষ প্রতিনিধি :

বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ইউপি সদস্য রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে আবারো দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি অনিয়ম যেন তার কাছে কিছুই না। জেলা পরিষদের টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা নিয়ে ৯/৬ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাস্তার অধিকাংশ কাজে রয়েছে রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম।

৫ তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও পতন হয়নি হারুন-সুজিতের মেয়ে বনে যাওয়া রত্না অধিকারীর। এখন সে বিএনপি পন্থী নেতৃবৃন্দদের ঘাড়ে ভর করে চালিয়ে যাচ্ছে তার বিভিন্ন অপকর্ম। বর্তমান অবস্থার মধ্যেও সে তার কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে সুরখালি ইউনিয়নের ভগবতীপুর গ্রামের ২ লক্ষাধিক টাকার ইটের সলিং রিপিয়ারিং এর কাজ করছেন তিনি বলে জানা যায়। আর তার এই কাজের সহযোগিতায় রয়েছেন বিএনপিপন্থী এক নেতা।

সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১% টাকার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রত্না অধিকারীর বিরুদ্ধে। পুরানো আধুলী দিয়ে রাস্তা তৈরি, সলিং এর বালির বেড সঠিকভাবে না করা, নিম্নমানের নতুন ইট দিয়ে রাস্তা করা সহ একাধিক অভিযোগ এই আওয়ামী লীগ নেত্রী ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে। রাস্তা তৈরীর তিনদিন যেতে না যেতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডেবে গিয়েছে রাস্তাটি। জানিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

up mohila sodosso rotna odhikarir biruddhe durnitir ovijog

এ বিষয়ে রত্না অধিকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটি আমার কিন্তু কাজটি দেখাশোনা করেছেন পরিষদের ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ওখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে দায়ভার তার।
ইউপি সদস্য আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, কাজটিতে কিছু অনিয়ম হয়েছে। রাস্তাটি বেশি ক্ষতি করেছেন, ইউপি সদস্য নাজমুল সিদ্দিকী সাকিব। তার ইটের গাড়ি উক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায়, রাস্তাটির মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে।
সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু বলেন, রাস্তার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ শুনেছি। আমি পরিষদের সচিবকে বলেছি, রাস্তা নতুন করে সংস্কার করার জন্য, অন্যথায় কাজের বিল দেওয়া হবে না।
উপজেলা প্রকৌশলী গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, উক্ত কাজের সাইডে আমার সরকারি ইঞ্জিনিয়ার গিয়েছিলেন। তারা কি রিপোর্ট দিয়েছে সেটা এখনো আমি বলতে পারিনা। কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নি বলেন, কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রজেক্টের বাজেটের বেশিরভাগ টাকা অপব্যবহার করা হচ্ছে। সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর নিকট তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান তারা।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana