নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কৃষির বহুমুখীকরণ এবং অপ্রচলিত কৃষিকাজের ব্যাপক প্রসারের ফলে চাঙা হয়ে উঠছে দেশের অর্থনীতি। গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন। করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের অর্থনীতিও হয়ে পড়ে বেশ বিপর্যস্ত। তবে এখন অনেকটা ভালোভাবেই সচল রয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা। কৃষির বহুমুখীকরণের মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙা রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ ২০২৩-২৪) আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যের আওতায় অংশীজনের অংশগ্রহণ অবহিতকরণ সভায় এসব কথা বলেন অতিথিরা।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে প্রায় ৬০ জন কৃষক, গণমাধ্যমকর্মী, সার ও বীজ ডিলার, জনপ্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খুলনার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন। গ্রামাঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে হবে। কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে পারলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। এমনকি মহামারি কোভিড-১৯ দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশের কৃষি নিরবচ্ছিন্নভাবে এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগানের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
মাহবুবুল আরও বলেন, কৃষকের অবস্থার উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কৃষকদের মাঝে বীজ, সার, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছে। কৃষকের সার-বীজের দাম হাতের নাগালে রেখেছে। কৃষক যাতে তার ফসল উৎপাদনে কোনো বাধাগ্রস্ত না হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) এসএম মিজান মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও মনিটরিং অধিশাখার যুগ্ম সচিব নাজিয়া শিরিন, প্রশাসন অধিশাখার যুগ্ম সচিব কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (উদ্যান) মহাদেব চন্দ্র সানা প্রমূখ।