মোঃ মনিরুজ্জামান চৌধুরী নড়াইল থেকে :
শীতকালীন বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে লাভবান হয়েছেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার মূলশ্রী গ্রামের কৃষক কায়কোবাদ সিকদার (টপ গ্রীন এগ্রো)। তিনি মাত্র ১ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। বর্তমান সময় তাকে দেখে এলাকার অনেকেই বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, টমেটো চাষে কৃষক কায়কোবাদ মালচিং পেপার ব্যবহার করেছেন। ক্ষেতে জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হয়। ক্ষেত থেকে এসব টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। কৃষক কায়কোবাদ বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার মিত্রের পরামর্শে তিনি প্রায় এক বিঘা জমিতে শীতকালীন টমেটো জাত বারি-৮ আবাদ করে সফলতা পান। প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচে ৬০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাই আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ করার ইচ্ছা আছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন মিত্র বলেন, লাভজনক পদ্ধতিতে শীতকালীন টমেটো ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় মোটিভেশনের মাধ্যমে মালচিং পেপার দিয়ে শীতকালীন টমেটো চাষ করে কৃষক কায়কোবাদ লাভবান। তিনি আরও বলেন, বারি-৮ নামে নতুন জাতের শীতকালীন টমেটো চাষে ইতিমধ্যে উন্নত জাতের এই টমেটো চাষে ব্যাপক ফলনও পেয়েছেন তিন। ভালো দাম পাওয়ায় ভাগ্য বদলাচ্ছে তাঁদের। বারি-৮ টমেটো খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ফলে তারা দামও পাচ্ছেন ভালো। কৃষকরা বলছেন অধিক ফলন আসায় এ টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। তাই আগামীতে আরো বেশি জমিতে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় প্রতিটি গাছেই প্রচুর পরিমাণ টমেটোর ফলন এসেছে।
তিনি বলেন, বারি-৮ টমেটোর ফলন অন্যান্য জাতের চেয়ে ফলন প্রায় দ্বিগুন। প্রতিটি গাছে ৫০/৬০টি ফল ধরে এবং গাছপ্রতি ফলন হয় প্রায় ১৫ কেজি। তিনি বলেন, অন্যান্য টমেটোর গড় ওজন ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম ওজন হলেও নতুন এ জাতের টমেটোর গড় ওজন ৫০ গ্রামেরও বেশি। এছাড়া চারা লাগানোর মাত্র ৬০ দিনের মধ্যেই ফল পাকতে শুরু করে। উপজেলা অন্যান্য জাতের চেয়ে এ টমেটোর আকার বড় ও কালার হওয়ায় তারা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়ার সাথে শতভাগ সামঞ্জস্য এই নতুন জাতের টমেটো চাষে আগামীতে কৃষিতে বিপ্লব সৃষ্টি করবে।