খুলনা প্রতিনিধি :
বটিয়াঘাটার পল্লীতে ছিটকে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। চোর সিন্ডিকেট চক্রের আতংকে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বটিয়াঘাটা উপজেলার ৪নং সুরখালী ইউনিয়নের অন্তর্গত ৬নং ওয়ার্ড এর সুন্দরমহল মঠবাড়ি বাজার এলাকায় প্রতি রাতেই ছোট খাটো চুরি সংঘটিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে নিয়মিত পুলিশ ঠহল না থাকায় গত শনিবারের পর থেকে ২৪ ঘন্টায় চোর সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, শিক্ষা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে টিউবওয়েল, স্যালো মেশিন, বিদ্যুৎ চালিত মটর, মুদী দোকানের মালামাল, মৎস্য আড়তের ১৬ টি ডিপোর ওজন পরিমাপক বাটখারা চুরি করে নিয়ে যায়। বর্তমান এলাকাবাসী চরম ঝুকির ভিতর বসবাস করছে বলে জানা যায়।
এলাকার জোহর বিশ্বাস এর মুদী দোকানের চালের টিন খুলে দোকানের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে স্ক্রুপ, ড্রাইভার, হাতুর সহ মালামাল ফেলে রেখে চলে যায়। সুন্দরমহল মসজিদের বিদ্যুৎ চালিত মটর, দিদারুল ইসলামের মাছের ডিপো থেকে বিভিন্ন মালামাল, একই এলাকার ইউসুফের ঘের থেকে মটর, মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে ও হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে টিউবওয়েল এবং মইন বিশ্বাসের বাড়ি থেকে নদীতে মাছ ধরার জাল চুরি সংঘটিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতপূর্বে চোর সিন্ডিকেট সুন্দরমহল বাজার থেকে পরেশ মন্ডলের মোবাইল সার্ভিসিং দোকান থেকে অর্ধলক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সুত্রে আরো জানা যায়, স্থানীয় আমির আলী বিশ্বাসের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চোরেরা চুরি করতে যায় যা আমির আলী দেখে বাধা প্রয়োগ করলে চোরেরা তার মাথায় সজোরে আঘাত করে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাবসায়ীরা বলেন, বাজারে নাইট গার্ডের দ্বায়িত্ব পালন সঠিক ভাবে না করার জন্য এই সমস্ত চুরি প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে। স্থানীয় ব্যাবসায়ী জোহর বিশ্বাস বলেন, বাজারে গভীর রাত পর্যন্ত তাস, জুয়া, কেরামবোর্ড বা অতিরিক্ত আড্ডার কারনে আইনশৃঙ্খলার এমন অবনতি ঘটছে।
তিনি পুলিশ ডিউটি জোরদার করার দাবি জানান। বাজার কমিটির সভাপতি মো: কাশেম গাজি বলেন, আমাদের বাজারে একজন নাইট গার্ড রয়েছে, এজন্য এই সমস্যাগুলো হচ্ছে। আমরা ডিউটিতে লোক বাড়ানোর চেষ্টা করছি। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা খাইরুল বাশার বলেন, এ সমস্ত ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।