পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী খুলনার পাইকগাছা ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে সভাপতি পদে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। একজন হলেন সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু ও আরেকজন হলেন বর্তমান সভাপতি জিএম শুকুরুজ্জামান।
নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে সভাপতি পদে জনপ্রিয়তায় সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু এগিয়ে রয়েছে বলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ধারণা করছে। সভাতি সম্পাদক সহ ১২ টি পদের বিপরীতে মোট ১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। সবগুলো পদই গুরুত্বপূর্ণ হলেও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে সভাপতি পদের নির্বাচন। কে হতে যাচ্ছেন পরবর্তী সভাপতি। বর্তমান নাকি সাবেক! এনিয়ে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা সহ চুলচেরা বিশ্লেষণ। সভাপতি পদের দুজন প্রার্থীই দক্ষ অভিজ্ঞ এবং পরীক্ষীত। এবারের নির্বাচন দিয়ে পঞ্চম বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন সাবেক সভাপতি মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু। এর আগে তিনি ৪ বার সভাপতি এবং ১ বার পরিচালক ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালে প্রথম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৩ বার সভাপতি ছিলেন। সমবায় সমিতির বিধি অনুযায়ী একজন ব্যক্তি টানা ৩ বার ক্ষমতায় থাকলে চতুর্থ বার তিনি নির্বাচন করতে পারেন না। এ কারণে ইচ্ছে থাকলেও ২০২১ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি অ্যাডভোকেট মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু। এবার আইনগত কোন বাধা না থাকায় এবং বেশিরভাগ সদস্যদের অনুরোধে আবারো সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু। অপরদিকে বিগত নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রথমবারের মতো
নির্বাচিত হন বর্তমান সভাপতি জিএম শুকুরুজ্জামান। অনেকেই মনে করেন মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু নির্বাচন না করায় জিএম শুকুরুজ্জামান নির্বাচনে সহজে জয়লাভ করেন। এবারের নির্বাচন তার জন্য খুব বেশি সহজ হবে না বলে মনে করছেন সমিতির সদস্য সহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা। জিএম শুকুরুজ্জামান এর আগে ১ বার সহ সভাপতি ও ২ বার পরিচালক ছিলেন। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসব হিসেবনিকেশ করছেন সমিতির সদস্যরা। জয়ের ব্যাপারে দু'জনই আশাবাদী হলেও হিসেব নিকেশ এবং জনমত জরিপে শেষ মুহূর্তে জনপ্রিয়তায় রুলু অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে ধারণা ভোটারদের। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। সমিতির উন্নয়নে তার অনেক অবদান রয়েছে। ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ছাড়া ও তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকার পটপরিবর্তনের পর যে উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতির যখন সাধারণ ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। এসময় অ্যাডভোকেট মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে সবধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ সার্বিক সহযোগিতা করার কারণে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক প্রশংসিত হন। বিশেষ করে সনাতন ব্যবসায়ীদের কাছে ভুয়সী প্রশংসিত হন।
এসব কারণে ঐতিহ্যবাহী ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি পদের নির্বাচনে তিনি এগিয়ে থাকবেন বলে এমনটাই মনে করছেন সদস্য সহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা। নির্বাচনে ৯৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চুড়ান্ত ফলাফল কি হয় সেটা দেখার জন্য আমাদের পহেলা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে সমিতির পরবর্তী সভাপতি নির্ধারণ করবেন এমন প্রত্যাশা রইল।