
এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা (খুলনা)
দীর্ঘদিনের নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে খুলনা-৬ (পাইকগাছা–কয়রা) আসনে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে তাদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ শুরু করেন। এর ভিতরে খুলনা-৬ আসনে এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী কে পাইকগাছা-কয়রা’য় মনোনয়ন দেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে গণসংযোগ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং তরুণ নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় রেখে বিএনপি’র হাইকমান্ড মনিরুল হাসান বাপ্পীর নাম চূড়ান্ত করে। তার নাম ঘোষণার পর পাইকগাছা ও কয়রার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন।মনোনয়ন পাওয়ার পর মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, এটি আমার নয়, পাইকগাছা-কয়রার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিজয়। জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে আমি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব।খুলনা-৬ আসনটি বরাবরই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত আসন। বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের জন্যই এ আসন মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। গত কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধারাবাহিকভাবে জয়ী হলেও বিএনপি সবসময় মাঠে সক্রিয় থেকেছে।
স্থানীয় রাজনীতিতে মনিরুল হাসান বাপ্পী তরুণ, উদ্যমী ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পাইকগাছা ও কয়রার বিভিন্ন সামাজিক, সাংগঠনিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে এই তরুণ প্রার্থীর মাঠে নামা বিএনপি শিবিরে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে।স্থানীয়ভাবে দেখা গেছে, বিএনপি প্রার্থী ঘোষণার পর অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা নতুন করে কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রাজনৈতিক তাপমাত্রা এখন ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে খুলনা-৬ আসনে।মনিরুল হাসান বাপ্পীর নেতৃত্বে পাইকগাছা-কয়রায় বিএনপি’র মাঠে নতুন প্রাণ ফিরে এসেছে — এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সময় যত ঘনিয়ে আসছে, খুলনা-৬ আসনটি ততই হয়ে উঠছে দেশের অন্যতম আলোচিত নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র।















