এস,এম,আলাউদ্দিন সোহাগ,পাইকগাছা ( খুলনা )
শীত প্রকৃতির একটা অংশ। মৌসুম এলেই শীত তার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে হাজির হয় প্রকৃতিতে। শীতের সময় খুব বেশি দীর্ঘ নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শীতের মেয়াদ থাকে। বাংলা ঋতু অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাস কে শীতকাল বলা হয়। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত কারনে ঋতু বৈচিত্র্যের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে প্রকৃতিতে শীতের আগমন, উপস্থিতি এবং তীব্রতার মধ্যে ও কখনো কখনো কিছুটা তারতম্য দেখা যায়।
সচারাচর নভেম্বরের শেষের দিকে শীতের আগমন ঘটে এবং ফেব্রুয়ারী মাঝামাঝি পর্যন্ত শীত অবস্থান করে। তবে এই পুরোটা সময় শীতের তীব্রতা থাকে না। শীত প্রকৃতির এমন একটা অদৃশ্য বস্তু। যা দেখা যায় না শুধু অনুভবে বোঝা যায়। শীতের উপস্থিতি ঘটা করে জানান দেওয়া লাগে না। শুধু মানুষ নামের প্রাণী নয়, প্রকৃতির সব জীব বৈচিত্র্য শীতের উপস্থিতি টের পায়। প্রবাদ আছে শীতের উষ্ণতা প্রকৃতিকে ও ছাড় দেয় না।
প্রকৃতির সবকিছুর উপর শীতের প্রভাব থাকে। এক কথায় শীতের তীব্রতা জনজীবন কে বিপর্যস্ত করে তোলে। শীতের সময় গরম পোশাক এবং লেপ, কাথা ও কম্বলের মতো বস্ত্র দিয়ে শীতের উষ্ণতা থেকে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকি। সমাজের বিত্তবান মানুষের পক্ষে এধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হলেও শীত আসলেই বিপাকে পড়েন সমাজের গরীব, দুস্থ, অসহায়, কর্মজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। এদের মধ্যে আবার সবচেয়ে সমস্যায় থাকেন বয়স্ক নারী, পুরুষ, অসুস্থ ও শিশু শ্রেণির মানুষ।
গরম পোশাক এবং প্রয়োজনীয় বস্ত্র এদের কেনার সক্ষমতা থাকে না। এজন্য তারা শীত আসলেই সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের পানে চেয়ে থাকে। কখন একটা কম্বল পাবে এ আশায় থাকে শীতার্ত অসহায় মানুষ গুলো। সরকারের পক্ষ থেকে অসংখ্য অসহায় ছিন্নমূল মানুষের এমন অপেক্ষার অবসান করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন।
কখনো তিনি রাতের আঁধারে, কখনো শীতের সকালে কখনো আবার পড়ন্ত বিকেলে শীতবস্ত্র নিয়ে ছুটে গেছেন গরীব দুস্থ ও অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। পুরো শীতের সময় জুড়ে তিনি এভাবেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার বেড়িবাঁধের নীচে বসবাসকারী ছিন্নমূল মানুষ, বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাসরত অসহায় মানুষ এবং এতিমখানা মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুসহ অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করে চলেছেন। যতটুকু পারছেন নিজ হাতে প্রকৃত অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন এসব শীতবস্ত্র।