পাইকগাছা ( খুলনা ) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছার গজালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অপকর্মে, অসামাজিক নানা অপরাধে এলাকা বাসীর তোপের মুখে চাকুরী থেকে নিজে পদত্যাগ করার ঘটনা ঘটেছে। রফিকুল ইসলাম গজালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গত ২০০২ সালের ১৩ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
কয়েক বছর যেতে না যেতে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন অশ্বীল কথাবার্তা, অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটনা জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় বাংলা নববর্ষ -১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীদের এক বৈঠক হয়। আলোচনা মধ্যে বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক বিউটি খাতুন কথা বলতে গেলে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিউটি খাতুনের উপর রাগান্বিত হয়ে অসম্মানজনক অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ে অন্য কোন শিক্ষক প্রতিবাদ না করায় বিউটি খাতুন প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়। বিদ্যালয় থেকে বাহির হয়ে কিছুদুর আসার পর এলাকার কয়েকজন যুবকের সাথে বিউটি খাতুনের দেখা হয়। যুবকরা বলে আন্টি কি হয়েছে, আপনি কান্না করছেন, মন খারাপ কেন? তখন বিউটি খাতুন যুবকদের বলে রফিক স্যার আমাকে অপমান জনক ভাষা ব্যবহার করে লাঞ্ছিত করেন। এসময় কয়েকজন যুবক বিদ্যালয়ে যেয়ে বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়ে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন।প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান যুবকদের এ বিষয় সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি,সদস্য সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নোটিশের মাধ্যমে পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় জরুরি মিটিং ডাকেন এবং রফিকুল ইসলাম ও বিউটি খাতুনের বিষয়টি সমাধান করবেন বলে উভয় শিক্ষকদেরকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেন। এ দিকে এলাকায় শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ২৩ বছরের বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময় অপকর্মের কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিদ্যালয়ে মিটিংয়ে অংশগ্রহনে উদ্দেশ্যে দুপুর থেকে আসতে থাকেন অভিভাবক, স্থানীয় যুবসমাজ ও সচেতন ব্যাক্তিরা। এসময় বিদ্যালয়ে মাঠে স্থানীয় জনতা বলতে থাকেন রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয় থেকে চাকুরী ছেড়ে স্ব- ইচ্ছা নিজে পদত্যাগ করতে হবে। উপস্থিত জনতার তোপের মুখে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম স্ব -ইচ্ছায় নিজে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দিয়ে চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন বলে জানাযায়।
একই স্থানে সাদা কাগজে স্বাক্ষরকৃত পদত্যাগ পত্রটি,আবারও পূর্ণাঙ্গভাবে লিখে বিদ্যালয়ের কমিটি, শিক্ষক বৃন্দ ও জনতার সামনে পড়ে শুনানো হয়ছে বলে জানাযায়। ইসলাম ধর্মের শিক্ষক বিউটি খতুন বলেন রফিক স্যার আমাকে অসম্মানজনক, আপত্তিকর কথাবার্তা যা বলেছেন আমি প্রধান শিক্ষক স্যারকে জানিয়েছি। আমি মানসিক দিকদিয়ে ভীষন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।আমি সুষ্ট বিচার চাই।প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন ইতি পূর্বের ২০১৫ সালে নারী ঘটিত সমস্যায় শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা মানব বন্ধন করেছিলেন।পরে রফিকুল ইসলাম ভবিষ্যতে এমন কর্মকান্ড করবে না স্বীকার করে মুচলেকা প্রদান করেন। যা বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত আছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক।
শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন আমি চাকুরী চলাকালীন সময় এমন কোন কাজ করিনি যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, বিউটি ম্যাডামের সাথে কিছুটা খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহাজান আলী শেখ বলেন,গজালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান আমাকে জানান যে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এলাকার মানুষের চাপেরমুখে বিদ্যালয় ছেড়েছেন, সাক্ষাতে আপনার বিষয়টি বলবো । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে এখনও আমাকে কেহ অবগত করেনি।