
বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :
সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর ২৫) দুপুর ২ টা থেকে ২.৩০ এর মধ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক হিরামন সাগর জানান, জরুরি কাজের জন্য ১.৩০ মিনিটে এসিল্যান্ড অফিসের সামনে তিনি গাড়ি হিরো স্প্লিন্ডার ১০০ সিসি কালো চকলেট কালাল মোটরসাইকেল টি রেখে ইউ এন ও অফিসে যান। কাজ শেষে ফিরে এসে তিনি দেখেন গাড়ি টি সেখানে নাই।
পরবর্তীতে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে তিনি সহ তার সহকর্মীরা থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে এসিল্যান্ড অফিস ইউএনও অফিস এর সিসি টিভি ফুটেজ চেক করেন। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ইউএনও অফিসের বাইরের আটটি ক্যামেরা পুরোটাই নষ্ট বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। এদিকে এসিল্যান্ড অফিসে গেলে সিসি টিভির পাসওয়ার্ড দিতে তালবাহানা শুরু করে অফিস কর্তৃপক্ষ। এসি ল্যান্ড অফিস থেকে বলা হয়, স্যার ছুটিতে থাকায় পাসওয়ার্ড আমাদের কাছে নাই স্যারের কাছে পাসওয়ার্ড, স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে স্যার বলে পাসওয়ার্ড নাজিরের কাছে, নাজির এর কাছে জানতে চাইলে নাজির বিষয়টা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান এবং বলেন পাসওয়ার্ড ক্যামেরা যে টেকনিশিয়ান লাগিয়েছিল তার কাছে, আপনারা স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মনে হয় টাকা না দিলে পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে না।
কিন্তু ঘন্টাখানেক পার হয়ে যাওয়ার পরে উপায় অন্ত খুঁজে না পেয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করেনএদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবা গ্রহীতারা জানান অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীরা দালাল পুষে তাদের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতা দের কাছথেকে ৫হাজার থথেকে ৫ লক্ষ টাকার অধিক ঘুষ গ্রহণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে যা কয়েক দিন আগেই বড়বাবু আজিজুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ হলে শোনা যায় তার বদলি হয়েছে কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আবার ও কর্মস্থলে বহাল থেকে যায় অন্যদিকে অফিসের কাননগো মাহাতাব হোসেন এবং সার্ভেয়ার ইব্রাহিম হোসেন এবং বড়বাবু আজিজুর রহমানের যোগদানের পূর্বে এবং বর্তমান তাদের আত্মীয়-স্বজন সহ ব্যাংক একাউন্ট চেক করলে জানা যাবে এরা কত অর্থের মালিক নামজারি কেস থেকে হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার এক লক্ষ টাকা এবং ক থাকলে তো আর কথাই নেই জমি বিক্রি করেও তাদের টাকা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ।
পরবর্তীতে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা খাইরুল বাশার ঘটনাস্থলে এসে পাসওয়ার্ড নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন। সেখানে মোটরসাইকেল চোরের ফুটেজ দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনার পরপরই সাংবাদিক হিরামন বটিয়াঘাটা থানায় অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। যার নং- ৪৫৫, তাং- ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫। উল্লেখ্য, এর আগেও বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকে এভাবে মটর সাইকেল চুরি হয়েছে। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা খাইরুল বাশার বলেন, ঘটনা শুনে আমি তাৎক্ষণিক সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।