ডেস্ক নিউজ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি আজকের দিনে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি মানসিক স্বাস্থ্য, উৎপাদনশীলতা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক চললেও এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আসক্তি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট ও এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে বাস্তব জীবনের মিথস্ক্রিয়া কমে যায়। এর ফলে উদ্বেগ, একাকিত্বসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। এই সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রয়োজন ডিজিটাল ডিটক্স বা প্রযুক্তি ব্যবহারে ভারসাম্য আনার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। নোটিফিকেশন চেক করা, ফিড দেখা এবং অন্যের জীবনের সঙ্গে নিজের তুলনা করার অভ্যাস থেকে জন্ম নেয় ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট) এবং একাকিত্ব। এ ধরনের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে মাঝেমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরতি নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি জীবনকে আরও অর্থবহ ও সচেতনভাবে উপভোগ করার পথ খুলে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের আসক্তি কমানোর প্রথম ধাপ হলো নিজের ব্যবহারিক অভ্যাস বিশ্লেষণ করা। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপল ও গুগল এই কাজে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে কিছু বিশেষায়িত অ্যাপ দারুণ সমাধান হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে সাধারণ ফোন ব্যবহার করা কার্যকর উপায় হতে পারে। যেমন, নকিয়া ২৬৬০ ফ্লিপ ফোনে কেবল কল ও বার্তা পাঠানোর সুবিধা রয়েছে, ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ না থাকায় আসক্তি কমানো সহজ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলে ধাপে ধাপে সময় কমানোর জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করুন।
ডিজিটাল ডিটক্সের পাশাপাশি সচেতন জীবনযাপনকে গুরুত্ব দিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সময় কমিয়ে বই পড়া, শরীরচর্চা, অথবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো কাজগুলোকে জীবনের অংশ করে তুলুন।
সূত্র: প্রথম আলো