
পাইকগাছা (খুলনা ) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছাসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
এ উপলক্ষে মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জা। মৃৎশিল্পীরা দিন-রাত এক করে প্রতিমা নির্মাণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কাঠামো তৈরির কাজ শেষ করে এখন চলছে রং-তুলি আর অলঙ্করণে প্রাণ দেওয়ার কাজ। প্রতিমার চোখ আঁকার সূক্ষ্ম শিল্পকর্মে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গার অপরূপ রূপ।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, আলো ও সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। পাইকগাছা ও আশপাশের এলাকায় পূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
উপজেলার কাটিপাড়া মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন কারিগর কিশোর কুমার। তিনি বলেন, “প্রতিমার মূল কাঠামো ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন শুধু সাজসজ্জা ও চোখ আঁকার কাজ চলছে। আর কিছু কাজ বাকি আছে, সেগুলো শেষ হলেই প্রতিমা পুরোপুরি প্রস্তুত হবে।”
উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি সন্তোষ কুমার সরকার জানান, পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১৪৩টি মন্দিরে সর্বজনীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরসভায় ৬টি, হরিঢালীতে ১৭টি, কপিলমুনিতে ১৬টি, লতায় ১২টি, দেলুটিতে ১৩টি, সোলাদানায় ১০টি, লস্করে ১৬টি, গদাইপুরে ৭টি, রাডুলীতে ১৯টি, চাঁদখালীতে ১৫টি ও গড়ইখালীতে ১১টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পাইকগাছা পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবুরাম মণ্ডল জানান, এবছর দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।