বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় লাঠিয়াল বাহিনীর দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। আমন ধান পেকে ওঠার আগেই বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে তারা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
শনিবার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের হাজির হাটের নিচের বিল থেকে একদল লাঠিয়াল বাহিনী কাতিয়ানাংলা গ্রামের জাহিদ বিশ্বাসের কাঁচা ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যুবলীগ নেতা আসলাম হালদারের হুকুমে ৮০-৯০ জনের একটি সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল বাহিনী সকাল সাড়ে দশটার দিকে জমিতে নেমে ধান কাটতে শুরু করে। তারা কাঁচা ধান কেটে শাহাদাত শেখ এর বাড়ি নিয়ে রাখে। সংবাদ পেয়ে ভুক্তভোগী জাহিদ বিশ্বাস দ্রুত বটিয়াঘাটা থানায় যেয়ে কাঁচা ধান কেটে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ আনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭/৮ জনকে আটক করে। ঘটনা স্থল থেকে দেশীয় লোহার রোড সহ লাঠি সোটা উদ্ধার করা হয়। রজনৈতিক হস্তক্ষেপে পরে তাদের মুসলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, বটিয়াঘাটায় লাঠিয়াল সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ যায় । কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসা হয়। ধান স্থানীয় মেম্বরের জিম্মায় রাখা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতে যেতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন,ধান পাকতে শুরু করায় বিরোধপূর্ণ জমিতে গোলমালের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোন ভাবেই আইন শৃঙ্খলার অবনতি সহ্য করা হবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা চলছে।
অন্যদিকে ধান কাটা কে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুর হাজির হাট বাজার ( গাঙ্গের গোড়া) তাইজুল সরদারের এর চায়ের দোকানে হামলা করে স্থানীয় নাজমুল শেখ, রসুল শেখ ও সিদ্দিক সরদার। তাইজুল বলেন, তারা হঠাৎ শনিবার দুপুরে আমার দোকানে এসে আমার দরজা ভেঙ্গে ফেলে এবং আমাকে মারপিট করে।