
এইচ এম সাগর (হিরামন) :
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এনডিসি বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অতিক্রমের পাশাপাশি বিশ্ব এখন পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ সময়ে বাংলাদেশকেও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গড়ে এগিয়ে যেতে হবে। আগে ধারণা করা হতো, কম্পিউটার এলে মানুষের কর্মসংস্থান নষ্ট হবে। কিন্তু বর্তমান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যুগেও মানুষই সবকিছু পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও এআই ব্যবহারের ফলে কর্মসংস্থান কমেনি, বরং মানুষের সফট স্কিল দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ ১৭ আগস্ট (রবিবার) বিকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি লেকচার থিয়েটারে ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ (ইডিজিই) প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাথে অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইডিজিই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সফট স্কিল উন্নত করেছেন। আগামীতে এডভান্স লেভেলে আরও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। ইডিজিই প্রকল্প শেষ হলেও ডিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইনোভেশন হাবের কার্যক্রম চলমান থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সচিব এ সময় ক্যাশলেস সোসাইটি ও পেপারলেস অফিস গড়ে তোলার পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রশাসন ও একাডেমিয়ার মধ্যে আরও নিবিড় সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ইডিজিই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সফট স্কিল উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এটি তাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হলেন এ.কে.এম. আমিরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. এস এম রফিজুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইডিজিই কেইউসিএসই ডিজিটাল স্কিল ট্রেনিং প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. শেখ আলমগীর হোসেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বিপিএএ।
প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থী মোঃ জাহিদুর রহমান, অর্পিতা ও আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ, ’২৪ এর জুলাই আন্দোলনের শহিদ ও মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত, দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হলেন এ.কে.এম. আমিরুল ইসলাম, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।