
বিশেষ প্রতিনিধি :
খুলনা মেট্রোপলিটন কলেজের দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি অভিযোগ উঠেছে।এবার খুলনা মেট্রোপলিটন কলেজের দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে প্রকাশ, এই দুই শিক্ষক হলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন কলেজ এর ইংরেজি প্রভাষক এ এইস এম মাহাবুবুর রহমান শামিম ও বাংলা প্রভাষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান মোড়ল।
২০২৪ সালে এইচ এস সি পাবলিক পরীক্ষার খাতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর বোর্ডের বাংলা ও ইংরেজি খাতা এবং প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য প্রতারণা করে প্রভাষক হয়ে সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদা ব্যবহার করে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক হন। ২০২৫ সালে একই সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদা ব্যবহার করে প্রধান পরীক্ষক হন। যাহা শিক্ষা বোর্ডের সহিত প্রতারণা এবং বেসরকারি চাকুরি বিধি লঙ্ঘন। তাছাড়া ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ের প্রভাষক ইতোপূর্বে মেট্রোপলিটন কলেজের ২৭ জন শিক্ষক কর্মচারীদের স্বাক্ষর জাল করে তৎকালীন গভর্নিং বডির সহিত প্রতারণা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক নিজ এবং কলেজে কৃষি বিষয়ের প্রভাষক জাহিদ আলামিন এর বিষয় বিশেষজ্ঞ ও ডিজি প্রতিনিধির স্বাক্ষর ও রেজুলেশন জাল করে এমপিও ভুক্তি করে।
২১/০৭/২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) কর্তৃক তদন্তে ধরা পরে। সেই সঙ্গে কলেজের আরও ১৪ জন শিক্ষক কর্মচারী জাল জালিয়াতি ও জাল সার্টিফিকেট ধরা পড়ে। যার তদন্ত কার্যক্রম সহ এখনও পর্যন্ত সরকার কর্তৃক যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া চলমান। এহেন অবস্থায় মেট্রোপলিটন কলেজ এর উল্লেখিত এএইসএম মাহবুবুর রহমান শামিম এবং মোঃ মাহাবুবুর রহমান মোড়ল এর বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অধ্যক্ষ কলেজ কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক খুলনা, শিক্ষা সচিব, শিক্ষা অফিসার খুলনা ও সংশ্লিষ্ট যশোর বোর্ড চেয়ারম্যান মহোদয়কে বে-সরকারি চাকুরি বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকদের মোবাইল ফেলে যোগাযোগ করে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।কলেজের অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী বলেন, অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে এবং যশোর বোর্ড এর কোন কর্মকর্তা এর সহিত জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।















