বাগেরহাটের মোংলায় প্রতিপক্ষের হামলায় পঙ্গু হয়েও শেষ রক্ষা পাচ্ছেনা বালু ব্যাবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক (৩৭) নামের এক যুবক। জানা যায়, জেলার মোংলা থানার সিগনাল টাওয়ার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে ব্যাবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক (৩৭) প্রায় ২০১৭ সাল থেকে ধুলো বালি ভরাটের ব্যাবসা করে আসছিলো।
স্থানীয়দের কাছে একজন ভালো ব্যাবসায়ী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করে সে । তার ব্যাবসার সফলতায় কলুপ দৃষ্টি পড়ে তৎকালীন আওয়ামীলীগের কতিপয় প্রভাবশালী নেতা ও ক্যাডারদের। তকালীন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার রোষানলে পড়ে ২০২৩ সালে রোজা থাকা অবস্থায় ১০ ই রমজান অতর্কিত হামলার শিকার হন তিনি। ঐ হামলায় পঙ্গু হয়ে যায় ব্যাবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক । আওয়ামী নেতার ক্যাডাররা কেড়ে নেয় তার বালু ব্যাবসা এবং লুট করে নিয়ে যায় তার মালিকানাধীন মিনি ডেজার । চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলেও একটি পা অচল হয়ে যায় তার। অব্যাহত হুমকি ধামকিতে প্রাণ বাচাতে বালু ব্যাবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় আব্দুর রাজ্জাক । ঐ ঘটনায় মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেছিল ভুক্তভোগী । মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয় তার উপর । ব্যাবসা হারিয়ে নিজের চিকিৎসা ও স্ত্রী সন্তানদের ভরন পোষণ করতে অনেক টা দিশেহারা হয়ে পড়েন সে।
৫ আগস্টের পর ফ্যাসিসট হাসিনা'র দোসরদের পতনের পরে নিকট আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়ে অবশেষে গড়ে তোলেন মোংলা শহরের কেওরাতলা এলাকায় একটি ভ্যান রিকশা র পার্টস বিক্রির দোকান । এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের স্থানীয় এজেন্টদের কতিপয় সদস্য ব্যাবসায়ী রাজ্জাককে অব্যাহত চাপ দিতে থাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। ব্যাবসায়ী রাজ্জাক মামলা তুলে নিতে অসীকৃতি জানায়। শুরু হয়ে যায় প্রতিপক্ষের নতুন চক্রান্ত। ব্যাবসায়ী রাজ্জাককে জব্দ করতে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য সরবরাহ করে মাদক ব্যাবসায়ী হিসাবে আখ্যায়িত করে হয়রানি করার চেষ্টা করে ঐ চক্রটি। ভুক্তভোগী দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূল শাস্তির জোর দাবি জানান প্রশাসনের নিকট।