
মোংলা (বাগেরহাট) :
বাগেরহাটের রামপালে সাবেক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুকের প্রভাব খাটিয়ে জমি ও বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ইস্রাফিল(৪৫) বাহিনীর নেতৃত্বে এ দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তালুকদার আলতাফ (৬৫) হোসেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রামপালের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ভুক্তভোগী তালুকদার আলতাফ হোসেনের স্ত্রী আমিরুন্নেছা (৪২)ও কন্যা ফারহানা জান্নাত(২৮)
তালুকদার আলতাফ হোসেনের কন্যা ফারহানা জান্নাত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দাদীর জমাজমির অংশ ক্রয় করে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করছি। সেখানে কিছু দোকান ঘর উঠিয়ে ভাড়াও দিছি। হঠাৎ আমার ছোট চাচা মোঃ রফিক হাওলাদার (৫০)তার ভাগের অংশ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুকের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু আমার ছোট চাচা মোঃরফিক হাওলাদার তার নিজ মালিকানাধীন ভোগ দখলীয় জমিতে উক্ত বিক্রিত সন্মত্তির দখল না দিয়ে আমাদের মালিকানাধীন বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা জোড় জবরানে স্থানীয় সন্ত্রাসী দের সহ যোগীতায় দখল করে নেয়। আটকিয়ে দেয় পথ চলাচলের পথ।
এ ব্যাপারে রামপাল থানা, রামপাল অস্থায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্প, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার সুরহা পাননি বলেও ভুক্তভোগী জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইস্রাফিল বলেন, আমরা কোন ভাংচুর করি নাই, বাশ দিয়ে শুধু সীমানা দিয়েছি।
সাবেক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছেন, এবিষয়ে পরে কথা হবে বলে কৌশলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আতিকুর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য বহুল আলোচিত বোর্ড ক্লাব পরিমনি মডেলকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস কিছু কথা বলেন শেখ ওমর ফারুক। তার এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর নীতিনির্ধারক এবং সরকারের শীর্ষ মহল ভালোভাবে নেয়নি। যার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বিসিএস ১২তম ব্যাচের এ কর্মকর্তার অবসর-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় কিছু দিন আগে ।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জেলা নেত্রকোনার এসপির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ওমর ফারুক। বিএনপি আমলে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ও পেয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে পাস করে পুলিশে আসা এই কর্মকর্তা।
ওমর ফারুকের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট। ১৯৯১ সালের ২০ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদান করেন। এরই মধ্যে প্রায় ২৯ বছর চাকরি করেছেন তিনি।
কিন্তু বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে এই কর্মকর্তা অনেক টা বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং সাধারণ মানুষ কে ব্যাপক হয়রানি করেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানাযায়।