
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
বটিয়াঘাটা উপজেলার ২ নং বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমরান আহাম্মেদ ও সম্পাদক পলাশ মহলদারের নামে ব্যপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ৫ আগষ্টের পর ২ নং বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইমরান আহাম্মেদ ও সম্পাদক পলাশ মহলদার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ মানুষের কাছ থেকে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। কারো জমি দখল করে দেওয়ার কথা বলে, কাউকে ধান কেটে দেওয়ার কথা বলে, কাউকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার কথা বলে, আবার আওয়ামী লীগের নেতাদের কে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করার কথা বলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে পুলিশের ভয় দেখিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি করে আসছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্হানীয় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কারনে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় খুলনা জেলা বিএনপি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খুলনা জেলা বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মোঃহরুন রশিদের কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয় টা নিশ্চিত করেন। অভিযোগ কারীদের সূত্রে জানা যায় এই চাদাবাজীর সাথে উপজেলা বিএনপির দুই এক জন নেত্রীবৃন্দের ইন্ধন থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হক জানান, সাবেক সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে আমি নিজে অবগত আছি তাদের কারণে স্থানীয়ভাবে বিএনপি ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচীব খন্দকার ফারুক হোসেন বলেন আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় রাজনীতি করি,দলের পদ পদবী ব্যবহার করে কেউ যদি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তাহলে অবশ্যই জেলা বিএনপির নেত্রীবৃন্দের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।এবং ঈদের পর দলীয় কার্যালয়ে অভিযোগ বাক্স টানিয়ে তৃনমুল নেতা কর্মীদের অভিযোগ নিয়েই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তারেক রহমানকে জবাবদিহিতা মুলক বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করবো।
এ ব্যপারে বিএনপি নেতাকর্মীর অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।