খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা গ্রামের দুর্গাপদ ঘোষের ছেলে প্রভাষক নন্দলাল ঘোষের পৈত্রিক ভিঠাবাড়ী জমি জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ উওম কুমার ঘোষ গংদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নন্দলাল ঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। জানাযায়, নন্দলাল ঘোষ বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার পত্রিক জমিতে আবারও ইট বিছিয়ে প্রতিপক্ষ উওম কুমার ঘোষ (৪০) দিপংর ঘোষ পিতা গোবিন্দ ঘোষ (৩৫) রেনুকা ঘোষ (৩৫) স্বামী উওম কুমার ঘোষ, টুম্পা ঘোষ (৩০) স্বামী উজ্জ্বল ঘোষ, রুপালি ঘোষ (২৮) স্বামী দিপংকর ঘোষ জমি দখলের চেষ্টা করেছেন। কাগজপত্র সূত্রে দেখাযায় উপজেলার বাঁকা মৌজায় সি এস খতিয়ান ২৪ বাঁকা গ্রামের অঘোর ঘোষ পিতা বলরাম ঘোষ, দারিক ঘোষ পিতা চন্ডীচরণ ঘোষের নামে ১১৪৯/১১৮৩ দাগে ০২ একর জমি রেকর্ড হয়। পরবর্তী এস এ জরিপের সময় দারিক ঘোষ অবিবাহিত থাকায় অঘোর ঘোষের নামে উক্ত জমি এস এ ২৯ খতিয়ান হয়। অঘোর ঘোষের মৃত্যুান্তে তার ছেলে দুর্গাপদ ঘোষ ভোগদখলকার থাকা অবস্থায় বি আর এস জরিপে দুর্গাপদ ও সন্তোষ ঘোষের নামে ৩১৭ খতিয়ান ২৩২০ দাগে ০২ একর জমি প্রাপ্ত হন। উক্ত জমি দখল বিরোধ নিয়ে গত ২০১২ সালে উপজেলা নির্বাহী আদালতে নন্দলাল ঘোষ বাদী হয়ে উওম ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ২১/৯/১৩ ইং তদন্ত প্রতিবেদনে দেখাযায় বাদীর প্রাপ্ত জমিতে ঘেরা বেড়া দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিবাদীগণ ঘেরা বেড়া উপড়িয়ে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়, এবং বাদীকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। নন্দলাল ঘোষ বলেন আমি পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক কিন্ত প্রতিপক্ষ উওম কুমার ঘোষ গংরা আমার জমিতে জোরপূর্বক টিউবওয়েল ও হাঁস-মুরগি ঘর নির্মাণ করেছে। গত ৫/৯/২৫ ইং আমি বাড়িতে না থাকায়, উওম কুমার ঘোষ গংরা আমার জমিতে আবারও ইট বিছিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে। প্রতিপক্ষ উওম কুমার ঘোষ বলেন, আমরা নন্দলাল ঘোষের বাড়ির সিমানা দিয়ে ৩ ফুট করে জমি পাবো, তিনি আমাদের জমি ভোগদখল করে আসছে, আমরাও তার জমি ভোগদখল করে আসছি। তিনি আমাদের কাছে জমি পেলে তার জমি ছেড়ে দিবো বা বাজার দর অনুযায়ী উচিৎ মুল্য দিয়ে ক্রয় করে নিবো। রাড়ুলী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ শাকিল আহমেদ বলেন উভয়ের জমি জমা নিয়ে বিরোধ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। কোন পক্ষের কাগজপত্র দেখা হয়নি।