বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি :
বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নে অবস্থিতনাইনখালী নদীর বাঁধ খুলে দেওয়া এবং লবন পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,নাইনখালী নদীতে বাঁধদিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ব্যক্তির ও মহল তাদের নিজেরদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য জোরপূর্বক অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করেছে। বাঁধ নির্মাণ করে তারা লবণ পানি ঢুকিয়ে মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকার সিরাজুল ইসলাম ভল্টা নাইনখালী নদীতে বাঁধদিয়ে লবন পানি খালে ঢুকিয়ে মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী তরমুজ চাষীদের।
কৃষকদের অভিযোগ,আমাদের ফসল উৎপাদনের জন্য পানি অপরিহার্য কিন্তু একটিমাত্র নন্দী বাইনখালী, যেখান থেকে আমরা আামাদের ফসলের ক্ষেতে সেচ প্রদান করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে কিছু অসাণু যাক্তির কারণে আমাদের ক্ষেত খামারে প্রয়োজনীয় সেচের অভাবে ফসলের বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কৃষক মোঃ সাব্বির হোসেন,আরিফুল হাওলাদার, শফিক, হাসিব শেখ, ইউসুফ, বাবলু, মোঃ জাহাঙ্গির, পঞ্চানন মন্ডল, মোঃ আল-আমিন বিশ্বাস সহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের এলাকায় লবন পানি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে প্রভাবশালীরা লবমপানি উত্তোলন করেন? লবন পানি উত্তোলন করে মাছ চাষ করার ফলে সাধারণ কৃষকের দুঃখ দূর্দশার সীমা নেই। গত ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখ এলাকার সাধারণ কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। অভিযোগকারীরা দ্রুত জরুরী ভিত্তিতে নাইনখালি খালের উপর অবৈধ বাধ উচ্ছেদ ও খাল থেকে লবন পানি উত্তোলন বন্ধের জোর দাবি জানান।
সিরাজুল ইসলাম ভল্টা বলেন, আমি সরকারের নিকট থেকে নাইনখালী নদী (খাল) লীজ নিয়ে লবনপানি উত্তোলন করে মাছ চাষ করছি।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, লবন পানি উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। ইতোমধ্যে লবণ পানি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবৈধ বেড়ীবাধ উচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া চলছে।