
স্বাস্থ্য ডেস্ক
বর্ষার পর রসালো পাকা আমের মৌসুম শুরু হয়েছে। গরমে সুস্বাদু এই ফলটি শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও দিলা অগ্রিম উপকার। পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা সামাল দিতে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে পাকা আম অত্যন্ত কার্যকর।
১. উচ্চ ভিটামিন সি ও এ-র উৎস
পাকা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক-চামড়া সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে ভিটামিন সি শরীরে মুক্ত মৌল (free radicals) দমন করে, যা বয়স সংশ্লিষ্ট ত্বকের ক্ষয় রোধে ভূমিকা রাখে।
২. শক্তি বৃদ্ধি ও হজম তন্ত্রের উন্নতি
গ্রীষ্মে শরীর চায় অতিরিক্ত শক্তি। প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ) দিচ্ছে তড়িঘড়ি শক্তি। একইসঙ্গে আমে থাকা পেকটিন ফাইবার হজম তন্ত্রের পক্রিয়া মসৃণ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।
৩. হাইড্রেশনের সহায়ক
বাজারে পাইরেসে তারুণ্যের আম বেছে নিলে শরীর পায় প্রাকৃতিক পানি। এতে পানিশূন্যতা দূর হয়, শরীর জায়গায় জায়গায় শীতলতা বজায় থাকে। বিশেষ করে বয়স্করা ও শিশুদের জন্য গরমের সময় গুঁড়ো শরকরা-চিনি মিশিয়ে আমের শরবতও খুব ভাল বিকল্প।
৪. হৃদরোগ ঝুঁকি কমায়
গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত আমের সেবন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। পাকা আমে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. মন ভালো রাখে ও ক্লান্তি দূর করে
গরমে ভারাক্রান্ত মনকে সতেজ রাখতে, শরীরে প্রয়োজনীয় মিনারেলস যেমন ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে আম। এর স্বাদ আর স্নিগ্ধ সুবাসই মনকে ভালো রাখে, ক্লান্তি দূর করে।
বিশেষজ্ঞের মন্তব্য:
ডা. সুমিতা রহমান, ‘হেলথ কেয়ার ক্লিনিক’-এর পুষ্টিবিদ, বলেছেন, “প্রতিদিন একটি মাঝারি মাপের পাকা আম খেলে গ্রীষ্মকালে শরীরের তাপ ভারসাম্য রাখা সহজ হয়। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।”
সতর্কতা:
যদিও পাকা আম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, অত্যধিক গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রাইটিস বা অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের খাবারের পরিমাণ ও সময় বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
গরমের এ আবহাওয়ায় তাজা ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত পাকা আমের মাধ্যমে শীতে-বসন্তের রূপে দেহে সুস্থতা আনতে পারেন সবাই।