সর্বশেষ:

paikgachar vorot chondro haspatal rokkhay manobbondhon

প্রায় অর্ধকোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু পাইকগাছার ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষায় মানববন্ধন

paikgachar vorot chondro haspatal rokkhay manobbondhon
Facebook
Twitter
LinkedIn

পাইকগাছা (খুলনা ) প্রতিনিধি

খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনির ভরত চন্দ্র হাসপাতাল রক্ষার দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (০৬ জুলাই) সকালে হাসপাতালের সামনে আধুনিক কপিলমুনির রূপকার রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর প্রতিষ্ঠিত ভরত চন্দ্র হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত, জনবল বৃদ্ধি ও জনকল্যাণে দানকৃত হাসপাতালের সম্পত্তি দখলে নিতে স্থানীয় চিহ্নিত দু’ ভূমি দস্যু মোঃ জয়নুদ্দীন গাজী ও গোপাল সাধু কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কপিলমুনি প্রেসক্লাবেরর আহবায়ক এইচ,এম,শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পানি কমিটি ও বিএনপির কপিলমুনি ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি এম বুলবুল আহম্মেদ, উপজেলা জামাতের সম্পাদক মাওলানা আলতাপ হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক এস এম, মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ, অনলাইন পোর্টাল দীপ্ত নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ দীন মাহমুদ, কপিলমুনি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল হান্নান, বনিক সমিতির আহবায়ক শেখ আনারুল ইসলাম।

paikgachar vorot chondro haspatal rokkhay manob bondhon

কপিলমুনি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে মাওলানা বুলবুল আহম্মেদ, বিনোদস্মৃতি সংসদের সভাপতি দিপংকর সাহা, সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েত আলী টুকু, তপন পাল,মিন্টু অধিকারী, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, রামপ্রসাদ কর্মকার, শেখ খায়রুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, ফরিজুল ইসলাম সহ সীমান্তবর্তী ৩ উপজেলার (পাইকগাছা,ডুমুরিয়া,তালা) বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন সময়ে নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সহ এক্স-রে মেশিন স্থাপন করেন রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু। ওই সময়ে খুলনা সদর হাসপাতালেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন এক্স-রে মেশিন ছিলনা। ফলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার বিশেষ অনুরোধে ভরত চন্দ্র হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি সদর হাসপাতালে নিজ খরচে ভবন নির্মান সহ প্রতিস্থাপন করা হয়, যা আজও দৃশ্যমান।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর প্রাথমিকভাবে এটি ভরত চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ভরত চন্দ্র হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে, ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার এটি জাতীয়করণ করে এবং ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর করে। হাসপাতালটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রবিন্দু।

সর্বশেষ রোববার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী এ হাসপাতালটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ঠদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana