সর্বশেষ:

paikgacha powrosovar oniyom durniti

পাইকগাছা পৌরসভার অনিয়ম দূর্নীতি -১, ১৭টি ক্ষুদ্র প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকার কাজে নয়ছয়ের অভিযোগ

paikgacha powrosovar oniyom durniti
Facebook
Twitter
LinkedIn

এফ, এম, এ রাজ্জাক :

পাইকগাছা পৌরসভার কোটেশন দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নম্বর ০১/২০২৪-২৫(পূর্ত), তারিখ- ১৭ জুলাই ২০২৪ পৌরসভার উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ু ঝুঁকি প্রবন এলাকার জন্য থোক বরাদ্দে জরুরি ভিক্তিতে জনস্বার্থে বাস্তবায়নের জন্য পাইকগাছা পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হতে শর্ত সাপেক্ষে কোটেশন দরপত্র আহব্বান করা হয়।

যার প্রকল্প গুলো (ক) পাইকগাছা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে পোষ্ট অফিসের সামনে সিসি ঢালাই। (খ) ২নং ওয়ার্ডে জনাব হযরত গোলদারের বাড়ি হইতে জনাব হান্নান মান্নানের জমি পর্যন্ত ৪০০ এমএম ডায়া ইউপিভিসি পাইপ স্থাপনের কাজ। (গ) ৮নং ওয়ার্ডে বাজার পুরাতন খেয়াঘাট সোলিং রাস্তা সংস্কারের কাজ। (ঘ) ৯নং ওয়ার্ডে জনাব মনোহার সানার বাড়ির সামনে ইটের ড্রেন নির্মানের কাজ। (৬) ৭নং ওয়ার্ডে ওয়ারদা রাস্তা হইতে জনাব মঈনুল মোল্যার বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা নির্মান। (চ) ৬নং ওয়ার্ডে এস এম শহিদুল সানার বাড়ি হইতে এস এম শফিকুলের বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা সংস্কার এবং বাঁশ প্যালাসইডিং এর কাজ। (ছ) ৮নং ওয়ার্ডে ওয়ার্বদা কালভার্টের সামনে হইতে শিবসা নদী পর্যন্ত মাটি কাটার কাজ। (জ) ৫নং ওয়ার্ডে জনাব মনিরুলের বাড়ি হইতে জনাব আবু মুছার বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা সংস্কারের কাজ। (ঝ) জনাব আলেপ সানার বাড়ির পাশে সোলিং রাস্তা সংস্কার। (ঞ) ৯নং ওয়ার্ডে শিববাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাটির কাজ। (ট) ৩নং ওয়ার্ডে জনাব মোক্তারের বাড়ির সামনে সোলিং রাস্তা সংস্কার। (ঠ) ওয়াপদা সুইচ গেট এবং খানজাহান আলীর বাড়ির পাশে মাটি ভরাট, বাশ পাইলিং এবং WBM এর কাজ। (ড) আজমীর হোটেলের সামনে সিসি ঢালাই এর কাজ। (ঢ) ২নং ওয়ার্ডে আজু গাজীর বাড়ির সামনে সোলিং রাস্তা সংস্কারের কাজ। (ণ) ২নং ওয়ার্ডে জন্যৰ আনারুলের বাড়ি হইতে জনাব টিপুর বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা নির্মান। (ত) ৫নং ওয়ার্ডে আবাসন জামে মসজিদের সামনে ৪০০ এমএম ডায়া ইউপিভিসি পাইপ স্থাপনের কাজ। (থ) ৮নং ওয়ার্ডে ওয়াপদার অফিসের সামনে মাটি ভরাটের কাজ।

যার প্রাক্কলিত মূল্য ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৪৫ টাকা। কাজের সময়সীমা ৩০ দিন উল্লেখ করে টেন্ডার কোটেশন দরপত্র ঘোষণা করা হয়। যাহার শর্তবলীর মধ্যে উল্লেখ থাকে, যে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়া কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত দরপত্র সমূহ বাতিল করতে পারবেন এবং পিপিআর ২০০৯( সংশোধিত) অবশ্যই অনুস্বরণ করতে হবে। উক্ত প্রকল্প গুলো সর্বোচ্চ মূল্যে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ইউসুফ আলী প্রাপ্ত হন। তবে তিনি কাজ গুলি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করেন নাই মর্মে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে জায়াযায়, ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৫৪ টাকার ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পে নামকাওয়াস্তে কাজ করে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। বাকী টাকা পৌরসভা সচিব লালু সরদার, হিসাব রক্ষক মিনাল কান্তি মন্ডল সহ: ইঞ্জিনিয়ার লিঠু, ইঞ্জিনিয়ার নূর আহম্মেদ ও মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ভাগাভাগি করে প্রকল্পের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, আমি সঠিক ভাবে কাজ করে বিল পাচ্ছিনা।

তবে কোন কাজ না করে বিল তুলে নিয়েছেন অনেকেই। এমনকি মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর দায়িত্ব হস্তান্তর কালে কয়েকটি অলিখিত সাদা ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে দেন। পরবর্তীতে ঐসব চেকে চুক্তি মতে টাকা ভাগাভাগি করে টাকার অংক লিখে ঠিকাদারদের ব্যাংক চেক প্রদান করা হয়েছে, এমন গুরুতর অভিযোগ ও রয়েছে। শুধু তাই নয়, কাজ না করে বিল উত্তোলন সহ ইতিমধ্যে জামানতের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ঠিকাদার আর তাতে সুপারিশ করেছেন পৌরকর্তৃপক্ষ। এটাকে পৌরসভার সচেতন মানুষ পুকুর চুরির ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা প্রকল্প গুলি সরেজমিন তদন্ত করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ বিরুদ্ধে পাইকগাছা পৌরসভার বাসিন্দা এ্যাড: তৈয়েব হোসেন নূর পৌরসভার পানি শাখা সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মান কাজের নামে কোটি কোটি আত্মসাৎ এর লিখিত অভিযোগ উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, চেয়ারম্যান দুদক, জেলা প্রশাসক খুলনা, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি খুলনা, সচিব, জেলা পরিষদ খুলনা ও ভারপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক পাইকগাছা। তিনি গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও পৌরসভা পানি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৪৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ৭শত ৩৬ টাকার প্রকল্পে পানির ট্যাংকির নিচে সিডিউল মোতাবেক স্টিল শার্টার এর পরিবর্তে কাঠের তক্তা ও নিয়ম মত লোহার রড ব্যবহার করছেন না। ফলে সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম চলছে। তিনি আরো জানান, আমার দাখিলকৃত অভিযোগ এর পরও সেখনে

অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে কাজ চলমান আছে। এ ছাড়া পাইকগাছার পৌরসভার সরল দীঘিটি খুলনা জেলা পরিষদের, তাদের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ ভাবে পুকুর ভরাট করে সেখনে পানি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও , কবর খানার উন্নয়ন প্রকল্পে, পৌরসভা শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে, পৌরসভার রোড লাইট প্রকল্পে, কভিট ১৯ প্রকল্পে, এডিবির প্রকল্পে ও গদাইপুর ইউনিয়ন পানির লাইন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট হয়েছে ও হচ্ছে। ঐসব বিষয় নিয়ে জনস্বার্থে আগামীতে ধারাবাহিক খবর প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে পৌরসভার ইঞ্চিনিয়ার নূর আলম এর সঙ্গে কথা বল্লে তিনি প্রকল্প গুলি সিডিউল মোতাবেক করা হয়েছে বলে জনান। তা-ছাড়া ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহেরা নাজনীন এর সঙ্গে কথা বল্লে তিনি বলেন এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

Facebook
Twitter
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

turan hossain rana