
শাহিদুল ইসলাম কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আইয়ুব আলী সরদার।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টাঢকয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন গত ১৪ এপ্রিল একই এলাকার ফজলুর রহমানের পুত্র গোলাম রহমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ দায়ের করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য তিনি এমন মিথ্যা অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
প্রকৃত ঘটনা হলো যে আমি দীর্ঘদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রেরিনিত হয়ে রাজনীতি করি। জিয়াউর রহমানের আদর্শ আমার শরীরে বহমান। আমি কখনো কোনদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বাইরে কোনো রাজনীতি করিনি। । যে কারণে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমার নামে ১০টি মিথ্যা নাশকতার মামলা করা হয় । উক্ত মামলায় আমি রিমান্ডে লোমহর্ষক নির্যাতনের শিকার হই। আমার রিমান্ডের সংবাদ শুনে আমার বড় চাচা স্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। বিগত দিনে সব সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। গত
৫ আগস্ট এর পুর্বে আওয়ামী লীগের দোষর মাওলানা গোলাম রহমান ওলামা লীগের সদস্য ছিল এবং তার ভাই বিল্লাল হোসেন গাজী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাগালী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করে। শুধু তাই নয় তাদের সহযোগী মনজুরুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন অফিসারদের অবৈধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আমাকে সহ এলাকার নিরীহ মানুষদের হামলা মামলা সহ পুলিশ হয়রানির মাধ্যমে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। যার মূলে ছিল মাওলানা গোলাম রহমান। সে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন মহিলা কর্মকর্তার সহযোগিতায় ক্ষমতাকে কাজে লাগাতো। তিনি ৫ আগস্ট এর পর থেকে এখনো পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন। তারা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা বুঝতে পারে যে আমি একটা সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছি ঠিক তখনই তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বগা এলাকার একটি খাল দখলের সম্পুন্ন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছে। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। যার কোন সত্যতা নেই। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আরও বলেন , সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে কোনদিন কোন ধরনের ক্ষতি করেছি কিনা তা আমার জানা নেই। কেও কোন দিন কোন প্রকার অভিযোগ করতে পারিনি। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে সব জানা যাবে। তারা আমাদের হয়রানী করার জন্য কয়রা উপজেলা নির্বাহী আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-২১/২৫।
এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে হয়রানী করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ থেকে পরিত্রান পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় শিক্ষক আব্দুর রহিম মালি, খানজাহান আলী সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।