নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউজিসির নীতি বহির্ভূত পদে বসেই খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (এনইউবিটিকে) চালাচ্ছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) অধ্যাপক ড. এটিএম জহির উদ্দীন। তিনি খুবির বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনের পূর্ণকালীন অধ্যাপক হয়েও নিয়ন্ত্রণ করছেন খুলনার ওই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তার অপসারণ এর দাবি তুলে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএর অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ এর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে জিম্মি করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীরা ১৩ দফা সংস্কার দাবি তোলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, খুবি অধ্যাপক এটিএম জহির উদ্দীন 'সেন্টার অব এক্সিলেন্স' পদে বসে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করছেন। কিন্তু এটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত কোনো পদ নয়। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকে তিলে তিলে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নষ্ট করেছেন এবং অতীতের সব সুনাম ধ্বংস করে ফেলেছেন৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিভাগীয় প্রধান বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চ্যাঞ্চেলর কর্তৃক মনোনীত একজন ভিসি নেই, ট্রেজারার নেই, সেখানে সেন্টার অব এক্সিলেন্স পদ আসলে হাস্যকর। তাছাড়া বেআইনি এই পদে বসে তিনি কার্যত জিম্মি করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই পদের জন্য তিনি মাসিক প্রায় দুই লক্ষ পচাঁত্তর হাজার টাকা সম্মানী নেন। খুবির পূর্ণকালীন অধ্যাপক হিসেবে সরকারি বেতনভাতা গ্রহণ করেও আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক সম্মানী গ্রহণ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুবির
শিক্ষার্থীরা তাদের লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, গত জুলাই আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তার কোনো ভূমিকা ছিলো না। তিনি সবসময় পতিত স্বৈরাচার সরকারের আজ্ঞাবহ দাস হিসেবেই কাজ করে আসছেন। তাকে এই পদে বসানো আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ স্বৈরাচারের সহযোগী হিসেবে বর্তমানে খুনের মামলার আসামি হয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়..... সালে ঢাবি অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জহির উদ্দীনকে চ্যাঞ্চেলর এর অনুমোদন ছাড়াই প্রোভিসি পদে বসান। কিন্তু পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি তাকে অনুমোদন না দিলে সেন্টার অব এক্সিলেন্স পদ খুলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী করেন এবং তিনিই চালান বিশ্ববিদ্যাল সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকবছরে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি না করে অনুমোদিত সংখ্যার অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ার চালু করা হয়েছে শিফটিং পদ্ধতি। ল্যাব ফ্যাসিলিটি বা ক্লাসরুমেরও ঘাটতি থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স মাসে বেতন নেন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। যা তিনি কোনো ফরমাল পলিসিতে না নিয়ে সরাসরি নগদে গ্রহণ করেন।এতে শিক্ষার্থীরা শুধু ক্ষুব্ধ নয়, রীতিমতো অবাকও। অভিযোগ আছে, এই জহির উদ্দীন এবং আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ দুইজনই এক্স ক্যাডেট। সে কারণে এদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতেও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে বাধা দেওয়া হতো। স্থানীয় সাংবাদিক সংবাদ পাঠালেও হেড অফিসে আটকে যেত সে সংবাদ।