
মোঃ মনিরুজ্জামান চৌধুরী কালিয়া প্রতিনিধি, নড়াইল
নড়াগাতী থানার আওতাধীন পহরডাঙ্গা, বাঐশোনা, খাসিয়াল, মাউলী, জয়নগর, কলাবাড়িয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রাম–মহল্লায়ও দেখা গেছে একই চিত্র। বড়দিয়া, যোগানীয়া, মহাজন, চাপাইল, পাখিমারা ও কলাবাড়িয়ার বিভিন্ন মহল্লায় প্রচারণামূলক প্যানা–ফেস্টুনের সংখ্যা এখন প্রায় বিলুপ্ত।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নড়াইল–১ আসনে পাল্টে গেছে পুরো নির্বাচনী দৃশ্যপট। কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন স্থানে টাঙানো প্রার্থীদের প্যানা, ফেস্টুন, পোস্টার ও শুভেচ্ছা–ব্যানারে ভরাট ছিল সড়কের দু’পাশ, বাজার এলাকা ও বিভিন্ন মহল্লা। তফসিল ঘোষণার পরই এসব প্রচারণা সামগ্রী দ্রুত নামাতে শুরু করেছে প্রার্থীদের কর্মীরা। সরেজমিনে কালিয়া পৌরসভা, নড়াগাতী, পহরডাঙ্গা বাজার, খাসিয়াল, চাপাইল সংলগ্ন সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে—আগের মতো আর ঝুলছে না ব্যানার–ফেস্টুনের সারি। চাপাইলের ব্যবসায়ী টুটুল শেখ বলেন, “তফসিল ঘোষণার পরপরই লোকজন এসে পোস্টার–ব্যানার নামিয়ে নিয়েছে।”
তবে কিছু ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়কে এখনো কিছু প্রচারণা সামগ্রী চোখে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ—আচরণবিধি কার্যকর হলেও কয়েকটি এলাকায় নজরদারি কম, ফলে এখনো বিদ্যুতের খুঁটি ও দোকানের সামনে ঝুলে আছে পোস্টার–ব্যানার। কালিয়ার এক ব্যবসায়ী জানান, “অনেকে নিয়ম মেনে সব নামিয়েছে। কিন্তু কিছু জায়গায় এখনো আগের পোস্টার ঝুলে আছে। সবার ক্ষেত্রে একইভাবে নিয়ম প্রয়োগ হওয়া উচিত।”
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধি কার্যকর। তাই সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ বাধ্যতামূলক। নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রচারণা সামগ্রী সরানোর পর প্রার্থীরা এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন গণসংযোগ, ঘরোয়া বৈঠক, ভোটারদের কাছে পৌঁছানো এবং কৌশলগত প্রস্তুতিতে।















