
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
কয়রা উপজেলার বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিতর্কিত করার হীন মানসিকতায় একটি কুচক্রী মহল এনসিপির ব্যানারে ইফতারের নামে চাঁদাবাজি শিরোনামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ও আঃ রউফের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। তারা বলছেন, ইফতার পার্টির মতো একটি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে পুঁজি করে যারা ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে তারা আর যাই হোক কোনোভাবে ভালো লোক হতে পারে না। অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও আমাদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, কেউ তাদের কাছে কোনো প্রকার চাঁদা দাবি করেনি এবং তারা রউফ কিংবা রব্বানীকে কোনো টাকা দেননি। মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রউফ ও রব্বানীর নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমার কাছে কেউ কোনো চাঁদা চায়নি এবং আমি কাউকে কোনো টাকা দেইনি। যারা এই ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছে তাদের উদ্দেশ্য এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করা।” একই ধরনের কথা বলেন আমাদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল ও। তিনি বলেন, “আমি বিস্মিত হয়েছি আমি রব্বানী-রউফের বিরুদ্ধে কোনো কথা না বললেও আমাকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদ দেখে। রউফ এবং রব্বানীকে আমি চিনি।
তারা সমাজের জন্য কাজ করছে। তাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি জোর গলায় বলছি, আমি তাদের কোনো চাঁদা দেইনি।’ স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি গোষ্ঠী এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের কারণে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।